|
|
|
|
পরপর ডাকাতি বসিরহাটে, বাড়ছে ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
লুটপাট ও ডাকাতির যেন হিড়িক পড়েছে বসিরহাটে।
নতুন বছরের শুরুতেই পর পর সোনার দোকানে ডাকাতি, বাড়িতে লুঠপাট, পর পর মন্দিরে চুরির ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কে বসিরহাট মহকুমার মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাতেও তিনটি মন্দিরের তালা ভেঙে ১৭০ কেজির বেশি ওজনের পিতলের চারটি মূর্তি, প্রায় ১৩ ভরি সোনা ও ১৫ কেজি রুপোর অলঙ্কার, ৩০ কেজি ওজনের পিতলের ঘণ্টা এবং পুজোর অন্য সামগ্রী লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা।
সন্দেশখালির মঠবাড়ি অঞ্চলে এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। অবস্থা এমনই যে, দিনে বাইরে বেরোলেও রাতে বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও যেতে সাহস পাচ্ছেন না বসিরহাটের বাসিন্দারা। দুষ্কৃতীদের এমন বাড়বাড়ন্তের জন্য তাঁরা পুলিশি ‘নিষ্ক্রিয়তা’কেই দায়ী করছেন। তাঁদের দাবি, পুলিশ এক জন দুষ্কৃতীকেও ধরতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি লুঠের মালপত্রও। যদিও বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ইতিমধ্যেই ১০ জনকে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন থানার অফিসারদের নিয়ে এলাকা ভিত্তিক তল্লাশি চলছে।”
গত ৮ জানুয়ারি হাড়োয়ার গোপালপুর-২ পঞ্চায়েতের বটতলা বাজারে তিনটি সোনার দোকানে অবাধে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। সোনা-দানা, নগদ মিলিয়ে প্রায় তারা লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে। কেউ ধরার পড়ার আগেই পর দিন হাড়োয়ার থানারই অদূরে রাখালপল্লিতে পরপর দু’টি সোনার দোকানে লুঠপাট চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। এ বারও লুটের পরিমাণ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা। ১০ জানুয়ারি বাদুড়িয়া থানার অনতিদূরে কদমতলা বাজারে ফের সোনার দোকানে লুঠপাট হয়। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হন দুই নৈশপ্রহরী ও এক তেলকলের শ্রমিক। এ বার পুলিশ প্রশাসন কিছুটা নড়েচড়ে বসে। তার পরেও ফের ১৭ জানুয়ারি বাদুড়িয়ার দাসপাড়া ও তালতলা এলাকায় দিনেদুপুরে বাড়িতে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। |
|
|
|
|
|