|
|
|
|
ঢালাও প্রশংসায় সৌজন্যের রাজনীতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রাজ্য ও কেন্দ্রে জোট ভেঙেছে
কংগ্রেস-তৃণমূলের। দু’দলের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে নিত্য। এরই মধ্যে শুক্রবার তমলুকের নিমতৌড়িতে তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন পিতা-পুত্র শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীওযা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শুভেন্দু অবশ্য সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে বলেন, “ওই তিন স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রণববাবুর। তাই এই অনুষ্ঠানে ওঁকে ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।”
এ দিন দুপুরে রাষ্ট্রপতি তিন কিংবদন্তী সতীশচন্দ্র সামন্ত, অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় ও সুশীলকুমার ধাড়ার মূর্তির আবরণ উন্মোচন করার পরে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান শুরু হয়। মূর্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির তরফে শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে উঠে প্রণববাবুকে উদ্দেশ করে বলেন, “আজকের ঐতিহাসিক দিনে বিশ্ববন্দিত এই নেতাকে আমরা পেয়েছি। আজ এই মহামানবের হাত ধরে স্বাধীনতা আন্দোলনের তিন সেনানীর মূর্তি উদ্বোধন হল।” |
|
মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি। —নিজস্ব চিত্র। |
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “ভারতের রাজনীতিতে বাংলা থেকে এত উঁচু মাপের নেতা কম হয়েছে। ওঁর আশীর্বাদেই দুই মেদিনীপুরের কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পে ৬৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দুই জেলার বন্যা সমস্যা দূর হয়েছে। মেদিনীপুরের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। রাষ্ট্রপতি হয়ে নিজের জেলা বীরভূমের পর মেদিনীপুরে এলেন। আমি ওঁকে সহস্র প্রণাম জানাচ্ছি।”
পরে মঞ্চে উঠে রাষ্ট্রপতিও “এমন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সাংসদ শিশির অধিকারী, তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ” জানান। তিন বিপ্লবীর স্মৃতিচারণার পাশাপাশি মূর্তি স্থাপনে উদ্যোগী হওয়ার জন্য শুভেন্দুর প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মঞ্চে উঠে অবশ্য তিনি নিজেকে ‘মা-মাটি-মানুষে’র সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে পরিচিত করান। এ ছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়াল, শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপাত্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকী প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের নামও ছিল আমন্ত্রণপত্রে (পরিচয় উল্লেখ ছিল না যদিও)। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘আমরা আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। অন্য কর্মসূচি থাকায় যেতে পারিনি।” |
|
|
|
|
|