কোচিতে ইংল্যান্ড বড় ব্যবধানে হারলেও আমি আগের কথাই বলছি। আমার দেশের ওয়ান ডে ক্রিকেট টিম দীর্ঘমেয়াদি দল গঠন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেককে ধৈর্য ধরতে হবে। একজন প্লেয়ারকে মাত্র কয়েকটা ম্যাচে দেখেই তার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার দলে আমি নেই।
যে ভবিষ্যদ্বাণী বলছে, ইংল্যান্ড আর ভারত দু’দলই ভাল মানের বোলারের অভাবে ভুগছে। যদিও দু’দলেরই ব্যাটিং বেশ ভাল। তবে সেখানেও ইংল্যান্ড বোলিংয়ে কিছুটা ভাল জায়গায় আছে। অ্যান্ডারসন-ব্রড-সোয়ান-স্টিভন ফিন থাকায়। তুলনায় ভারতীয় দলে এই সিরিজে যাদের দেখা গিয়েছে তাদের চেয়ে ভাল পেসার রিজার্ভে আর কেউ নেই। পুরো ফিট থাকলে উমেশ যাদবকে ফিরিয়ে আনা হতে পারে। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। যদি ভারত ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের কথা ভেবে এগোয় সে ক্ষেত্রে। ভারতে পেস বোলার হয়ে ওঠার চেষ্টার সবচেয়ে বড় সমস্যা মোটিভেশনের অভাব। ব্যাটসম্যান-বন্ধু, পাথরের মতো শক্ত পিচে পেস বোলিং করা মজার ব্যাপার নয়। বিশেষ করে যখন সেই পেসার জানে, তার চেষ্টার সামান্য অংশই ফলপ্রসূ হবে।
সে জন্যই আমি বেশ বিশ্বাসযোগ্য একটা রিজার্ভ বেঞ্চ তৈরি রাখা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান করি। পরের মাসে অস্ট্রেলিয়া যখন ভারতে আসবে, ওদের ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইন-আপ সম্ভবত সমস্যায় পড়বে। কিন্তু ভারতের যদি বিপক্ষের ভঙ্গুর ব্যাটিংয়ের ফায়দা তোলার মতো বোলিং আক্রমণ না থাকে, তা হলে নিজেদের ঘরের মাঠে কী করে টেস্ট সিরিজে আধিপত্য দেখাবে? প্রত্যেক ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ঘাড়ে বিরাট রান তোলার চাপ পড়বে। যেমন ইংল্যান্ডের সঙ্গে হচ্ছে।
ভারত সম্ভবত প্রত্যেক ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে স্বচ্ছন্দবোধ করে। কিন্তু রান তাড়া করতে হলে ওরা কী করবে? ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বর্তমান ফর্মে ওরা দশ বারের মধ্যে ন’বার সফল হবে না। কারণ তার আগে ওদের অক্ষম বোলাররা বিপক্ষকে রানের পাহাড় গড়ে তুলতে নিশ্চিত সুযোগ দেবে।
সুতরাং, বাস্তবে চলতি সিরিজের এই মুহূর্তে ১-১ স্কোরলাইনের বিশ্বাস করুন, খুব সামান্যই গুরুত্ব আছে। দু’দলেরই যেটা আসল দরকার, তার নাম ধারাবাহিকতা। যেটা একমাত্র কোনও ব্যালান্সড দলের কাছ থেকেই দেখা যেতে পারে। |