নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
যানজটে নাকাল হচ্ছেন উলুবেড়িয়া শহরের বাসিন্দারা। একদিকে যখন ত্রিফলা আলো জ্বালিয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষ শহরকে সাজানোর পরিকল্পনা করেছেন, অন্য দিকে যানজট বন্দি করে ফেলেছে শহরকে।
শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে ওড়িশা ট্রাঙ্ক (ওটি) রোড। মহকুমাশাসক এবং মহকুমা আদালতে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা এটিই। রাস্তায় স্টেশন রোড মোড় এবং গরুহাটা মোড় নামে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ মোড় রয়েছে। এই দু’টি মোড়েই মূলত যানজট হয়। অটোরিকশা এবং ট্রেকারগুলি যাত্রী তোলার জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে এই দু’টি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। অটোরিকশা এবং ট্রেকারগুলির পিছনে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন রুটের বাস, লরি, সাইকেল মোটরবাইক প্রভৃতি। শুধু তাই নয়, রাস্তার দু’দিকেই ব্যাঙের ছাতার গজিয়ে উঠেছে নার্সিহোম। ওই সব নার্সিংহোমে যে সব গাড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্স আসে সেগুলিও দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার উপরেই। ফলে যানজটের অন্যতম কারণ এটাও। আর তার ফল ভুগতে হয় বাসিন্দাদের। |
শীতের মরসুমে হাওড়া জেলার অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্র গাদিয়াড়া এবং গড়চুমুকে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। পর্যটনকেন্দ্রে যাতায়াতের প্রধান রাস্তা ওটি রোডই। ফলে যানজটের কবলে পড়তে হয় পর্যটকদের। ওই দু’টি মোড়ে সকাল-সন্ধ্যায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট সমস্যার কোনও সুরাহা হয় না। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, প্রয়োজনে গ্রিন পুলিশ নিয়োগ করে যান নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে পারে প্রশাসন। কিন্তু সেটাও করা হচ্ছে না।
পুলিশের বক্তব্য, কর্পোরেশন এলাকা ছাড়া গ্রিন পুলিশ নিয়োগ করা যায় না। উলুবেড়িয়া যেহেতু কর্পোরেশন নয় তাই এখানে গ্রিন পুলিশ নিয়োগ করা যাবে না। যানজট এড়াতে মেদিনীপুর ক্যানালের ধার দিয়ে একটি বাইপাস রাস্তা তৈরিরও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কংগ্রেসের সাইদুর রহমান বলেন, “আমি এই বাইপাস রাস্তা করার জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে তদ্বির করেছিলাম। বর্তমানে কী পরিস্থিতি বলতে পারব না।” পুর চেয়ারম্যান তৃণমূলের দেবদাস ঘোষ বলেন, “বাইপাস তৈরির প্রকল্পটি চূড়ান্ত হয়েছে। টাকা এলেই কাজ শুরু হবে।” |