নিজস্ব সংবাদদাতা • ভদ্রেশ্বর |
ভরদুপুরে জনবহুল স্টেশন চত্বরে লক্ষাধিক টাকা এক বৃদ্ধের থেকে ছিনতাই করে নেয় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বৃদ্ধের চিৎকারে ধাওয়া করে দু’জনকে ধরে ফেলল জনতা। বাকি তিন জন লঞ্চে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় এক পথচারী জখম হন। শুক্রবার দুপুরে হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতদের থেকে দু’টি পাইপগান এবং চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। যদিও খোওয়া যাওয়া টাকা পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভদ্রেশ্বরের সারদাপল্লী থেকে সিমেন্টের ব্যবসায়ীর এক কর্মী এ দিন টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। স্টেশন লাগোয়া এলাকা থেকে তিনি একটি অটোতে ওঠেন। দেবরাজ সাউ নামে ওই কর্মচারীর হাতেই ছিল টাকা ভর্তি ব্যাগ। আচমকা কয়েক জন যুবক অটোটিকে ঘিরে ধরে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই কর্মচারী বাধা দেন। এরপর তাঁকে মারধর করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে দুষ্কৃতীরা পালাতে শুরু করে। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অটো চালক এবং ওই বৃদ্ধ চিৎকার জুড়ে দেন। পথচলতি মানুষ তাঁদের চিৎকারে দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতে শুরু করে। সেই সময় সমীর দাস নামে এক পথচারী যুবক দুষ্কৃতীদের ধরতে যান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমায় তিনি জখন হন। এরপর অবশ্য দু’জনকে ধরে ফেলে জনতা। শুরু হয় মারধর। |
ঘটনার খবর পেয়ে ভদ্রেশ্বর থানার ওসি অরূপ ভৌমিক ঘটনাস্থলে যান। জনতার হাত থেকে দুষ্কৃতীদের উদ্ধার করে পুলিশ। বোমায় জখম যুবককে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ধৃতদের জেরা করে শুরু হয় তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত চন্দননগরে গৌরহাটি ঘাটের কাছে লঞ্চে পার হতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন দুষ্কৃতী।
পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে। সিমেন্ট দোকানের কর্মী দেবরাজবাবু বলেন,“টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য অটো ধরতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে ঘিরে ধরল। আমি টাকা ব্যাগ ছাড়তে চাইনি। দুষ্কৃতীরা দু’রাউন্ড গুলি ছুড়ে, ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেল।”
হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন,“ধৃতেরা উত্তর ২৪ পরগনার। তাদের সঙ্গে এলাকার দুষ্কৃতীরা যুক্ত কি না পুলিশ তা দেখছে। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”
|