|
|
|
|
জিটিএ বিল দ্রুত পাশ করাতে এ বার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র |
প্রেমাংশু চৌধুরী • নয়াদিল্লি |
পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে জিটিএ-কে দ্রুত সাংবিধানিক বৈধতা দিতে চাইছে কেন্দ্র। এ জন্য সংসদের বাজেট অধিবেশনেই সংসদের দুই কক্ষে এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে তারা। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিলের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবি নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, দেশের অন্যান্য অংশে পৃথক রাজ্যের দাবিতে চলা আন্দোলনগুলি তাতে উৎসাহিত হবে। তার আগেই গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে একটা পাকাপাকি লাগাম পরিয়ে ফেলতে চাইছে সরকার।
কলকাতা হাইকোর্টে জিটিএ-র সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় রাজ্য সরকারকেও অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। আবার মোর্চাকেও পাহাড়ের মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, জিটিএ-কে সাংবিধানিক বৈধতা দিতে সংবিধানের ২৪৩ ধারায় কিছু সংশোধন করতে হবে।
অনায়াসে বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়া যাবে, কেন্দ্র এ কথা ভাবলেও রাজ্য বিজেপি কিন্তু জিটিএ বিলের বিরোধিতাই করছে। বামেরা তো আগে থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ দিন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে বলেন, “নীতিগত ভাবে বিজেপি ছোট রাজ্য গঠনের পক্ষে। কিন্তু মাত্র ৩টি মহকুমা নিয়ে পৃথক রাজ্য গড়া যায় না।” রাহুল বলেন, “নেহাৎ চমক সৃষ্টির জন্য জিটিএ চুক্তি করে রাজ্য সরকার কার্যত পাহাড়ে আলাদা রাজ্য গঠনের দাবিকে উৎসাহ জুগিয়েছে।”
ঘিসিংয়ের আমলে যখন গোর্খা পার্বত্য পরিষদ তৈরি হয়, সে সময়ও সংবিধান সংশোধন করা হয়। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা থেকে দার্জিলিংকে ছাড় দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে পুরসভার পাশাপাশি পরিষদকেও বৈধতা দেওয়া হয়।
এ বার রাজ্য বিধানসভায় যে জিটিএ আইন পাশ হয়েছে, সেখানে ফের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও পুরসভা রাখার কথা বলা হয়েছে। মাথায় থেকে এদের কাজকর্ম দেখাশোনা করবে জিটিএ। কাজেই এই সব বিষয় সংশোধন করা দরকার। রাজ্যের পার্বত্য বিষয়ক দফতর ইতিমধ্যেই বিলের খসড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রকের কেন্দ্র-রাজ্য বিভাগে এখন সেই খসড়াকেই চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার কাজ চলছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধনের বিল আনছে শুনে রাজ্য সরকার এবং মোর্চা নেতৃত্ব, উভয়েই স্বস্তি বোধ করছে। কারণ এর ফলে পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি তৈরির সম্ভাবনা কমবে। মোর্চা নেতা হরকাবাহাদুর ছেত্রী বলেন, “আমরা রাজ্যের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। রাজ্য সরকার এখনও আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। আমাদের কথা ছেড়ে দিন, তাড়াতাড়ি সংবিধান সংশোধন না হলে রাজ্যকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।” |
|
|
|
|
|