গুলি করে কপ্টার নামাল মাওবাদীরা
মাওবাদীদের গুলির নিশানায় এ বার ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। বায়ুসেনার কাছ থেকে এই হেলিকপ্টারটি নিয়ে ছত্তীসগঢ়-এ তল্লাশির কাজে লাগাত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ছত্তীসগঢ় পুলিশের এক রেডিও অপারেটর।
শুক্রবার বিকালে ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলার দোরনাপালের গভীর জঙ্গলে লড়াইয়ে আহত জওয়ানদের উদ্ধারের সময় সেটি লক্ষ করে গুলি চালায় মাওবাদীরা। এই ঘটনার পরে বায়ুসেনার এমআই-১৭ কপ্টারটি সুকমার টিমবারওয়ারা-য় জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। কপ্টারটিতে ৭ জন ছিলেন।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাম নিবাস এ দিন রাতে আনন্দবাজারকে জানান, ঘটনার সূত্রপাত এ দিন দুপুরে। সুকমার পোলামপল্লিতে ছত্তীসগঢ় সশস্ত্র বাহিনীর (সিএএফ) এক দল জওয়ানের সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় সিএএফের হেড কনস্টেবল বেসুরাম মানদাওয়ি নিহত হন। আহত হন ছত্তীসগঢ় পুলিশের ওয়্যারলেস অপারেটর এস আর সাহু। তাঁকে উদ্ধারের জন্যই জগদলপুর থেকে বায়ুসেনার ওই হেলিকপ্টারটি সেখানে গিয়েছিল। বিকেলে মাওবাদীরা সেটি লক্ষ করে গুলি চালায়। তবে কপ্টারটি জরুরি অবতরণ করতে পেরেছে।
নয়াদিল্লি থেকে বায়ুসেনার মুখপাত্র প্রিয়া জোশী ফোনে জানান, গুলিতে হেলিকপ্টারের ভিতরে থাকা এক পুলিশকর্মী আহত হন। বুলেটের ঘায়ে সেটির জ্বালানি ট্যাঙ্ক ফুটো হয়ে যায়। গুরুতর যান্ত্রিক ত্রুটিও দেখা যায়। তা সত্ত্বেও চালক সেটির মুখ ঘুরিয়ে কিছুটা দূরে নিরাপদে নামিয়ে আনেন।
জগদলপুর কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল-এর (এটিসি) অধীনে। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে এ দিন জানা গিয়েছে, বিকেল ৪টে ৫৭ মিনিটে কপ্টারটি জগদলপুর থেকে ওড়ে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরই শুরু হয় খোঁজ। বিমানবন্দরের রিজিওনাল এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর মনোহরলাল লাকড়া বলেন, “বিকেলের পরে আর বিমান চলাচল করে না বলে আমরা এখন রায়পুরের এটিসি বন্ধ করে দিই। কিন্তু, এ দিন ঘটনার কথা জানার পরে জরুরি ভিত্তিতে সেই এটিসি খোলানো হয়। ওই এলাকার সমস্ত বিমানের উপরে শুরু হয় নজরদারি।” এরই মাঝে খবর আসে, গুলি করে নামানো হয়েছে বায়ুসেনার ওই কপ্টারটিকে।
হেলিকপ্টারের অফিসারেরা কেন অবতরণের পরেই এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করলেন না? প্রিয়া জোশী-র যুক্তি, “সেই সময়ে ওই পাণ্ডববর্জিত এলাকায় নেমে স্থানীয় পুলিশের খোঁজেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন অফিসারেরা। তাই, অন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।” সিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন জরুরি অবতরণের পরে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তত ক্ষণে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের ঘটনা জেনে ফেলেছে সবাই। সিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছনর পরে কপ্টারটিকে ঘিরে ফেললে ফের গুলির লড়াই শুরু হয়। রাত পর্যন্ত সেই লড়াই চলেছে। গিয়েছে কোবরা বাহিনীও।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.