|
|
|
|
সাহসিকতার পুরস্কার পাচ্ছে খাসি বালক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সে চোখের সামনে দেখেছিল, কী ভাবে ঠাকুরদা, ঠাকুরমা ও কাকিমাকে হত্যা করছে কাকা। তারপরেই হুঁশ ফেরে ১১ বছরের ছেলেটির। পাশের ঘরে ঘুমিয়েছিল খুড়তুতো বোন। হত্যালীলায় ব্যস্ত কাকার পাশ কাটিয়ে, পাশের ঘর থেকে ঘুমন্ত বোনকে টেনে তোলে স্ট্রিপলিজম্যান মিলিয়েম। তারপর ছোটে দরজার দিকে। কিন্তু দরজা বন্ধ! একের পর এক কচি পায়ের লাথি মেরে শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে ফেলে সে। নিজের ও হত্যাকারী কাকার মেয়ের জীবন বাঁচায়।
নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এ হেন সাহসিকতার জন্য মিলিয়েম রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সাহসিকতার পুরস্কার পাচ্ছে। মেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি পাহাড়ের ঘটনা। ২০১১ সালের ২ অগস্ট রাতে মাওকিরওয়াটের কিশোর মিলিয়েমের মাদকাসক্ত কাকা ব্রেমিংস্টার শ্বাসরোধ করে ঠাকুরদা কোরিন্দ্র, ঠাকুরমা টিকলি ও কাকিমা এলবিরিসকে হত্যা করেছিল। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসে পুরস্কার নিতে দিল্লি পাড়ি দেওয়ার আগে মিলিয়েম জানায়: ঘুম ভেঙে চোখের সামনে কাকাকে এমন করতে দেখে প্রথমে কি করবে বুঝে উঠতে পারেনি। তারপরেই কাকার মেয়ের কথা মাথায় আসে। মিলিয়েমের কথায়, “কাকাকে দেখে বুঝতে পারছিলাম, বাড়ির সকলকে মারার চেষ্টা করবে। তাই বোনকে ঘুম থেকে ওঠাতে না পেরে, ওকে টেনে টেনে দরজার কাছে নিয়ে আসি। দরজায় লাথি মারতে থাকি। ভাগ্যিস ঠিক সময়ে দরজাটা ভাঙল। আমি বোনকে কোলে নিয়ে প্রাণপণে পড়শিদের বাড়িতে গিয়ে সব জানাই।” প্রথমে রুদ্রমূর্তি ব্রেমিংস্টারের ভয়ে পড়শিরা বাড়িতে ঢুকতে ভয় পাচ্ছিলেন। তখনও রক্তাক্ত একটি রড হাতে গর্জন করছিল সে। পরে দলবেঁধে প্রতিবেশীরা তাকে কাবু করে। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি, একটি সংস্থার তরফে পড়াশোনার খরচ বাবদ বার্ষিক ৯০ হাজার টাকাও পাবে সে। |
|
|
|
|
|