জয়পুরের ডায়েরি |
|
রাহুল কো লাও |
মনমোহন ও সনিয়ার সঙ্গে শহর জুড়ে তাঁরও পোস্টার। চিন্তন শিবিরের মূল মঞ্চের পিছনের পর্দায়ও প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস সভানেত্রী ও তাঁর ছবি। এই প্রথম কংগ্রেসের কোনও শীর্ষ বৈঠকের মঞ্চে বর্ষীয়ানদের পাশাপাশি স্থান হল রাহুল গাঁধীর। কিন্তু তাতেও অসন্তুষ্ট নেতাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, দলে রাহুলের মর্যাদা বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে হবে। বাইরেও প্রদীপ জৈন, জিতিন প্রসাদ, সি পি জোশী, শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়ালরা বললেন, প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করা না গেলে রাহুলকে অন্তত দলের কার্যকরী সভাপতি করা হোক। এমন ‘রাহুল কো লাও’ দাবি ওঠায় হাইকম্যাণ্ড কী করেন এখন সেটাই দেখার। |
রাজধানী জয়পুর |
ক্ষমতার কেন্দ্র এখন জয়পুরই। কারণ আপাতত তিন দিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের ঠিকানা জয়পুরের রাজভবন। সেখানে তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অস্থায়ী সচিবালয়। কংগ্রেসের মন্ত্রীদের পাশাপাশি সাউথ ব্লকের কর্তারাও এসেছেন এ শহরে। প্রধানমন্ত্রী যখন কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত, তখন রাজস্থান সরকারের সঙ্গে বকেয়া প্রশাসনিক কথাবার্তা ঝালিয়ে নিচ্ছেন সাউথ ব্লকের আমলারা। এমনকী, আয়কর দফতরের আঞ্চলিক কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় কর্তাদের।
|
গুদামে রয়েছি |
আঁচ করেছিলেন, চিন্তন শিবিরে অযথা আড়ম্বর-বিলাসের সমালোচনা করবেন সনিয়া গাঁধী। তাই আয়োজনে বাহুল্য বর্জনের সব রকম চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। খানা একেবারে শুদ্ধ শাকাহার। পাঁচতারা হোটেলেও রাখা হল না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও। তা নিয়ে অবশ্য রয়েছে ক্ষোভও। যেমন- কোথায় রয়েছেন জানতে চাওয়া হলে এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তো বলেই দিলেন,“একটা গুদামে রয়েছি।”
|
রেগে আগুন রবি |
ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে তখন চলছে আলোচনা। মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি নিয়ে কমবেশি ক্ষোভ জানাচ্ছেন নেতারা। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভায়লার রবি কিন্তু বলতে উঠে একেবারে খেপে গেলেন। মঞ্চে তখন প্রধানমন্ত্রী। পাশে অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম। তাঁকেই আক্রমণ করে রবি বলেন, “সরকার ভেবেছে কী! খালি ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের কথা বলা হচ্ছে! যে ভাবে জিনিসের দাম বাড়ছে, আম আদমি এ বার বুড়ো আঙুল দেখাবে।”
|
সভানেত্রীর ভাবনা |
দিল্লিতে সাম্প্রতিক গণধর্ষণের ঘটনার পর মহিলাদের সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে চিন্তন বৈঠকে সনিয়া গাঁধী যে উদ্বেগ প্রকাশ করবেন, তা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু শুক্রবার উদ্বোধনী বক্তৃতায় শুধু উদ্বেগই জানালেন না তিনি। বরং দলের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনার চেয়ে বেশি সময় কাটালেন মহিলাদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত পার্শ্ব বৈঠকে। |
|