ঠাকুরপুকুরে অচল বাসে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার উপরে অত্যাচারের পরে দক্ষিণ শহরতলির প্রায়-পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ। এ ক্ষেত্রেও নিগৃহীতার আচার-আচরণ দেখে পুলিশের ধারণা, তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী। শুক্রবার ভরসন্ধ্যায় যৌন নিগ্রহের ওই ঘটনা ঘটে হরিদেবপুরে।
পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় অভিযোগের তির এলাকার একটি প্রায়-পরিত্যক্ত বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর দিকে। গভীর রাত পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। মহানগরীর বাসিন্দারা বলছেন, দিল্লিতে চলন্ত বাসে ছাত্রী-ধর্ষণ এবং হত্যার পরে কলকাতা মোমবাতি মিছিল করেছিল। কিন্তু এই শহরের পরিস্থিতি যে দিল্লির থেকে খুব একটা আলাদা নয়, পার্ক স্ট্রিট, ঠাকুরপুকুর এবং হরিদেবপুরের এ দিনের ঘটনা তারই প্রমাণ। মহিলাদের নিরাপত্তার অভাবের ছবিটাকেই ফের বেআব্রু করে দিল হরিদেবপুরের নারী-নির্যাতন।
ঠিক কী ঘটেছে এ দিন?
নিগৃহীতার বাবা জানান, তাঁর মেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সৃজনী এলাকায় এক টিভি চ্যানেলের শু্যটিং দেখতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বলাকা এলাকায় একটি ফাঁকা বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী তাঁকে জোর করে ওই বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। তরুণীর সঙ্গে স্থানীয় এক কিশোর ছিল। সে নিজেদের পাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের খবর দেয়। বাসিন্দারা গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
বিপদ বুঝে লোকজন আসার আগেই গা-ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। পুলিশি সূত্রের খবর, তরুণী ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাতেই তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।
বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় বলাকা এলাকার ওই বাড়িতে আগে এক ব্যক্তি থাকতেন। এখন সেখানে একটি সংস্থার অফিস থাকলেও নিয়মিত লোকজনের আনাগোনা নেই। |