একই পাড়ায় একটি বাড়িতে ও তিনটি অফিসে পরপর চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাগুলি ঘটেছে কেষ্টপুরের প্রফুল্লকাননে। ওই বাড়ি এবং তিনটি অফিসই ফাঁকা ছিল। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি টহলদারি নিয়েও।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রফুল্লকাননের বাসিন্দা রবীন দত্ত একটি স্থানীয় খবরের কাগজ চালান। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি অফিসেরই কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রবীনবাবু বলেন, “পরিবারের অন্যরা এক আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। আমাকেও বেশি রাতে বেরোতে হয়েছিল। ফিরে দেখি, দরজার তালা ভাঙা। ঘর লণ্ডভণ্ড, আলমারি ভাঙা।” রবীনবাবু জানিয়েছেন, বিয়েবাড়ি উপলক্ষে বাড়িতে রাখা এক লক্ষ টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না খোয়া গিয়েছে। চুরি গিয়েছে মোবাইল ফোন ও দামি জিনিসপত্রও।
রবীনবাবুর বাড়ির পাশেই সিদ্ধার্থ দাস নামে এক আইনজীবীর অফিস। তিনি জানান, শুক্রবার সকালে অফিসে পৌঁছে দেখেন দরজা ভাঙা। খোয়া গিয়েছে এক লক্ষ টাকা। একটু দূরেই কমল দাস নামে আর এক আইনজীবীর অফিস। অভিযোগ, তাঁর অফিস থেকেও কয়েক হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। কমলবাবুর বাড়ির পাশে এক মার্কেটিং সংস্থার অফিসের তালা ভেঙে ১৮ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলে জানান সংস্থার আধিকারিক
কাকলি মুখোপাধ্যায়।
একই পাড়ায় পরপর চারটি চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যান বিধাননগরের এসিপি অনিল সরকার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, গত সপ্তাহেও কেষ্টপুরে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে চারটি বাড়িতে চুরি হয়েছিল। তার কিনারা হওয়ার আগেই ফের এমন ঘটল। বৃহস্পতিবার রাতের চুরির ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশি টহল নিয়ে। বিধাননগরের এক পুলিশকর্তা অবশ্য বলেন, “টহল আগের থেকে বেড়েছে। চুরির ধরনে মনে হচ্ছে একই দুষ্কৃতী দলের কাজ। আশা করা যায়, দ্রুত দলটি ধরা পড়বে।” |