খোঁজ চলছে আড়াই-তিন একরের
ব্যবসা বাড়াতে জমি চায় সরস্বতী প্রেস
ছাপাখানার ব্যবসা বাড়াতে রাজ্যের কাছে জমি চাইছে সরস্বতী প্রেস। রাজ্য সরকার অধিগৃহীত সংস্থাটির বক্তব্য: বাড়তি কিছুটা জমি পেলে তারা নতুন আর একটা ছাপাখানা গড়ে তুলতে পারে। এতে সংস্থার ব্যবসা বৃদ্ধির পাশাপাশি লাভের অঙ্কও বাড়তে পারে। প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ও শিল্প পুনর্গঠন দফতর সরস্বতী প্রেসের জন্য জমি দেখা শুরুও করেছে বলে মহাকরণ-সূত্রের খবর।
জমির সংস্থান হতে পারে কী ভাবে? মহাকরণের এক কর্তা জানিয়েছেন, সরকারেরই কোনও রুগ্ণ সংস্থার অব্যবহৃত জমি সরস্বতী প্রেসকে দিয়ে দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের মতে, এতে দু’টি সংস্থাই লাভবান হবে। এক দিকে বাড়তি জমিতে নতুন ছাপাখানা বানিয়ে সরস্বতী প্রেস ব্যবসা বাড়াতে পারবে। অন্য দিকে ওই জমি বাবদ সরস্বতী প্রেস যে টাকা দেবে, সেই অর্থে রুগ্ণ সংস্থাটির ঘরে কিছু পুঁজি আসবে, যা তাদেরও ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ হতে পারে। কমানো যেতে পারে বকেয়া ঋণের বোঝা। অর্থাৎ সরস্বতী প্রেস-কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবটি ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারার সুযোগ এনে দিয়েছে রাজ্য সরকারের সামনে।
রাজ্য সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে হাতে গোনা যে ক’টা এ পর্যন্ত মুনাফা করছে, সরস্বতী প্রেস তাদের অন্যতম। গত অর্থবর্ষেও (২০১১-’১২) সংস্থাটি প্রায় একশো কোটি টাকার ব্যবসা করেছে, মুনাফা প্রায় ৯ কোটি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন দফতরের ছাপার কাজ ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রচুর কাজ আসে। সঙ্গে রেলের বরাতও। পূর্বাঞ্চলে যে কোনও রাজ্যের যে কোনও নির্বাচনে গোপনীয় যা কিছু ছাপার দায়িত্ব পায় সরস্বতী প্রেস। নতুন ছাপাখানা হলে কাজের বহর আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংস্থার এক অধিকর্তা। “একটা ছাপাখানায় বার্ষিক একশো কোটি টাকা টার্নওভারের অর্থ, ব্যবসা বেশ ভাল চলছে। এবং এর পরেও ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তাই আমরা নতুন ইউনিট করতে চাইছি।” বলেন তিনি।
মহাকরণের খবর: নতুন ছাপাখানা তৈরির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ও শিল্প পুনর্গঠন দফতরের কাছে সরস্বতী প্রেস আড়াই থেকে তিন একরের মতো জমি চাইছে। দফতরের এক কর্তা বলেন, “লাভজনক যে দু’-চারটে সংস্থা রয়েছে, চাইছি তারা ব্যবসা বাড়াক। বহু বছর ধরে ওদের ব্যবসার পরিমাণ একই জায়গায় আটকে রয়েছে।” অধিকাংশ সরকারি সংস্থার ব্যবসাবৃদ্ধি নিয়ে উদ্যমহীনতার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, সরস্বতী প্রেসের ‘সম্প্রসারণমুখী’ মানসিকতা তার উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বলে মনে করছেন সরকারি কর্তাদের একাংশ।
এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থায় উদ্যমের স্রোত আনতে সরস্বতী প্রেসকে এখন দৃষ্টান্ত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কী রকম? যেমন সরস্বতী প্রেসের উদাহরণ টেনে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পণ্যাগার নিগম (ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ওয়্যারহাউস কর্পোরেশন)-কেও ব্যবসা বাড়াতে হয়েছে। নিগমের হাতে এখন প্রায় তিরিশটি গুদামঘর, গত অর্থবর্ষে তারা সাড়ে তিন কোটি টাকা মুনাফা করেছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তাদের ব্যবসা কম-বেশি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। তাই নিগমকে বলা হয়েছে গুদামঘরের সংখ্যা বাড়াতে। কারণ, বেশ কিছু বড় বেসরকারি সংস্থা কলকাতা ও আশেপাশে পণ্য রাখার জায়গা চেয়ে রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যার সুযোগ নিগম সহজেই নিতে পারে বলে মনে করছেন শিল্প পুনর্গঠনের কর্তারা। বাড়তি গুদাম কী ভাবে মিলতে পারে, তার দিশাও দিয়েছেন ওঁরা। ওঁদের বক্তব্য: কৃষি-সহ বিভিন্ন দফতরের অনেক গুদাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে নিগম সেগুলো ভাড়ায় নিতে পারে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.