খারাপ ডালেই খিচুড়ি রান্না, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
নিম্ন মানের ডাল দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ির খিচুড়ি রান্না হচ্ছে, এই অভিযোগে শুক্রবার দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখালেন কাটোয়া শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দারা। ২৭৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ওই বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাদের দাবি, ভাল ডাল দিয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়িতে খিচুড়ি রান্না করে শিশু ও প্রসূতিদের মধ্যে বিলি করতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১০ সালে ডিসেম্বর মাসে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি শুরু হয়। এই কেন্দ্র থেকে প্রসূতি ও শিশু মিলিয়ে ৫০ জনকে প্রতিদিন রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়।
বিক্ষোভে অভিভাবকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে নিম্নমানের ডাল দিয়ে খিচুড়ি সরবরাহ করা হচ্ছে। ওই কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকাদের বলেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় যুবক অনাদি সাউ, রণজিৎ মির্জা, সুদীপ্ত বান্টি মজুমদারেরা অভিযোগ করেন, “ডালের রং কালো হয়ে গিয়েছে। বস্তাতেও পোকা ভর্তি। খাবার অযোগ্য ওই ডাল।” বাসিন্দাদের আরও দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সরবরাহ করা খাবার বাড়ি এসে ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।ওই খাবার খেয়ে শিশু ও প্রসূতিরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ওই কেন্দ্রের সহায়িকা করবী চুনারি স্বীকার করেন, “ভাল করে ধোয়ার পরেও ডাল থেকে পোকা যাচ্ছে না। ভিতর থেকে পোকা বেরিয়ে আসছে। খিচুড়িতেও পোকা ভাসতে দেখা যাচ্ছে।” কিন্তু এর পরেও ওই খারাপ ডাল দিয়েই কেন রান্না করছেন তাঁরা? ওই কেন্দ্রের কর্মী সোনামণি বায়েন বলেন, “কাটোয়া ১ সিডিপিওকে ওই ডাল পাল্টে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভাল ডাল আসেনি। তাই ওই ডালেই রান্না করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।” কাটোয়া ১ সিডিপিও মালবিকা মজুমদার বলেন, “দ্রুত ভাল ডাল ওই কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ততদিন পর্যন্ত রান্না বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.