|
|
|
|
ফের ধস বরাকরে, আতঙ্কে বাসিন্দারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
আশপাশের বেশ কিছুটা জমি বসে গিয়ে প্রায় ১১ ফুট পরিধি জুড়ে গর্ত তৈরি হল বরাকর স্টেশন রোডে। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। গর্ত ভরাটের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কুলটির বিধায়ক তথা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান বরাকর স্টেশন রোডের বেশ কিছুটা অংশ বসে গিয়েছে ও প্রায় ৩ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। খবর ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন। বরাকর স্টেশনে যাওয়ার এটিই একমাত্র রাস্তা। ফলে সবসময়েই এই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করে। ঘটনার জেরে যানবাহন চালানো বন্ধ করে দেন চালকেরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জায়গাটি ঘেরার ব্যবস্থা করে। বেশ কিছুক্ষণ পর রাস্তার এক ধার দিয়ে যান চলাচল শুরু করায় পুলিশ। |
|
মেরামতির অপেক্ষায়। —নিজস্ব চিত্র। |
শুক্রবার যে এলাকায় গর্ত ও ফাটল দেখা দিয়েছে তার আশপাশেই রয়েছে কয়েক’শো দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বরাকর বাজারের প্রাণকেন্দ্র এই এলাকাই। ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত ব্যবসায়িক মহল। যেকোনও সময়ে ভূগর্ভে তলিয়ে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত গর্ত ভরাট করতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়লাখনি বেসরকারিকরণের সময়ে এখানে ভূগর্ভস্থ কয়লা খনন করার পর ঠিকমতো বালি ভরাট করা হয়নি। তাতেই এই গর্ত ও ফাটল তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, মাঝেমাঝেই এই অঞ্চলে মাটিতে ফাটল দেখা দেয় ও এই ধরনের গর্ত তৈরি হয়। বছর চারেক আগেও ঠিক এই জায়গাতেই একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছিল। তখনও বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়। সে বার বালি ও জল দিয়ে গর্ত ভরাটের ব্যবস্থা করেছিলেন বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ। কুলটির বিধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানান, গর্ত বোজাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে গর্তের মুখে বালি ভরাটের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আপাতত ওই এলাকা দিয়ে ভারী যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করার জন্য পুলিশকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। |
|
|
|
|
|