নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
নাবালিকা সৎ মেয়েকে ভিনরাজ্যে যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ফকির বস্তি এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জিপাড়া থানার ফকির বস্তি এলাকার বাসিন্দা চন্দন চৌধুরী তার ১২ বছর বয়সী সৎ মেয়েকে উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা এক যুবকের হাতে তুলে দেয়। সেই সময় চন্দনবাবুর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। তাকে না জানিয়েই চন্দনবাবু এ কাজ করেছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনার কিছু বাদেই ওই নাবালিকার মা এসে খোঁজ করে মেয়েটিকে না দেখতে পেয়ে এলাকাতে খোঁজ শুরু করে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক নেতার সহযোগীতায় পাঞ্জিপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানালে পুলিশ মজলিশপুর এলাকা থেকে লক্ষণ সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে ওই মেয়েটিকেও উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় ওই নাবালিকার বাবা চন্দন চৌধুরী ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা লক্ষন সিং এর দুই সঙ্গীকেও পাঞ্জিপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ.যদিও গ্রেফতার হওয়ার পর ওই নাবালিকার বাবা চন্দন বাবু পুলিশকে জানিয়েছিলেন,তিনি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা লক্ষন সিং এর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেওযার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “বাল্য বিবাহ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চার জনকে।” পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, ওই মেয়েটিকে নিয়ে বৃহস্পতিবারের ট্রেনেই তাদের উত্তরপ্রদেশ যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে তাদের বিয়ে করারও কথা ছিল। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, চন্দনবাবু এর আগেও এক বার ওই নাবালিকাকেই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন ভিন রাজ্যের ওই যুবকের সঙ্গে। তবে ভিনরাজ্যের ওই যুবকদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল কি না সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |