যক্ষ্মায় আক্রান্ত এক রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ডট্স সেন্টারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সামসুদ্দিন মণ্ডল নামে ওই রোগী জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। ওই যুবকের অভিযোগ, “গত ১১ জানুয়ারি নিয়ম লঙ্ঘন করে আমাকে দু’সপ্তাহের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। ওই ওষুধগুলি খাওয়ায় শরীর খারাপ করে। কাশলেই রক্ত পড়তে শুরু করে। পরে দেখি গত বছরের অক্টোবরে ওষুধগুলির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে।” বিষয়টি জানার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। জেলার যক্ষ্মা আধিকারিক চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, “মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এ ছাড়া কোনও অবস্থাতেই রোগীকে এক সপ্তাহের বেশি ওষুধ দেওয়ার নিয়ম নেই। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ওই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।” অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদার বলেন, “পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় আরও বেশি নার্সিংহোমকে যুক্ত করার দাবিতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের (উন্নয়ন) কাছে স্মারকলিপি দিল জেলার নার্সিংহোম সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, যে সব নার্সিংহোম এই প্রকল্পে যুক্ত হতে চেয়েছিল, সেগুলি উপযুক্ত কি না তা তদন্ত করে দেখেছে প্রশাসন। তারপরেও গুটিকয় নার্সিংহোমকেই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা আধিকারিক হরিশ দে বলেন, “তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে উপযুক্ত নার্সিংহোমগুলিকেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” এই প্রকল্পে ৩০ টাকার বিনিময়ে এক পরিবারের ৫ সদস্য বছরে ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন। বিভিন্ন নার্সিংহোম, সরকারি হাসপাতালেও পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অনুপম নায়েক বলেন, “সব নার্সিংহোমই স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতিতে চলছে। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নিশ্চয় রয়েছে। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও অনেককে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।”
|
পুরুলিয়া পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালে নতুন করে ৩২ জন রোগী ভর্তি হন। তবে ছাড়া হয় ১১১ জনকে। সিএমওএইচ স্বপনকুমার ঝরিয়াত বলেন, “দু’জন রোগীর মলের নমুনা পরীক্ষায় কলেরার জীবাণু মিলেছে।” |