রাজ্যের ঋণকাঠামো পুনর্বিন্যাস ও কেন্দ্রীয় অনুদান বাড়ানোর দাবি নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের দ্বারস্থ হল রাজ্য। আজ রাজধানীতে বিষয়টি নিয়ে গোপনে মনমোহনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গত দেড় বছরে রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সাহায্যের জন্য দরবার করা হলেও বিশেষ সাড়া পাওয়া যায়নি। ইউপিএ সরকারের উপর থেকে তৃণমূল সমর্থন প্রত্যাহারের পরে কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশা আরও কমেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্য কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইবে না। এই অবস্থায় মনমোহনের কাছে প্রকাশ্যে অর্থসাহায্যের জন্য দরবার দলের নীতি-বিরোধী। রাজনীতির কারবারিদের মতে, তা মাথায় রেখেই আলোচনা নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন অমিতবাবু। বিকেলেও বৈঠকের কথা স্বীকার করতে চাননি তিনি। পরে অবশ্য বলেন, “মনমোহন সিংহ আমার শিক্ষক ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমি দেখা করতেই পারি।” প্রশাসন সূত্রে খবর, গতকালই এই বৈঠকের জন্য সময় চান অমিতবাবু। আজ সন্ধ্যায় প্রায় আধ ঘণ্টা মনমোহনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
|
রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে নারী-নির্যাতনের প্রচুর মামলা জমে রয়েছে। এই অবস্থায় অন্তত ধর্ষণের মামলাগুলির চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি চাইছে কলকাতা হাইকোর্ট। জেলা আদালতের বিচারকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র। হাইকোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধর্ষণ-মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ সব মহকুমায় এক বা একাধিক আদালতকে চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলি মহিলা বিচারকদের দিয়ে পরিচালনা করতে পারলে ভাল হয়। প্রধান বিচারপতি সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে নারী-নিগ্রহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, খোরপোষ সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির কথা বলেন। শিশুশ্রম সংক্রান্ত মামলার বিচারের জন্য এজলাস বাড়ানো এবং আরও বিচারক নিয়োগের কথাও বলেন তিনি। বাম আমলে এ রাজ্যে ১৫১টি অস্থায়ী ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট ছিল। নতুন সরকার সেই সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখন ৮৮টি স্থায়ী ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চলছে রাজ্যে। নারী-নির্যাতন এবং অপরাধমূলক অন্যান্য মামলার তুলনায় এই আদালতের সংখ্যা কম বলেই মনে করেন প্রধান বিচারপতি। তাই রাজ্যে আরও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চান তিনি। |