পূর্বরেলের শিয়ালদহ শাখায় কৃষ্ণনগর ও বহরমপুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বেলডাঙার পরিষেবা বৃদ্ধির দাবি দীর্ঘদিনের।
রেল দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এই স্টেশনে মাসে গড়ে ১৩ লক্ষ টাকার অসংরক্ষিত টিকিট এবং ১২ লক্ষ টাকার সংরক্ষিত টিকিট বিক্রি হয়। প্রতি মাসে ৪০০ কুইন্টাল সব্জি এবং অন্য আরও প্রায় ৪০ কুইন্টাল পণ্য কলকাতায় পাঠনো হয়। এলাকার মানুষের দাবি, ওই স্টেশনের দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্ম সম্প্রসারিত করতে হবে। ওই দু’টি প্ল্যাটফর্মের ছাউনিও বাড়াতে হবে। ওভারব্রিজের সম্প্রসারণ ও সংস্কারও করতে হবে। তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের আগের রিকশা স্ট্যান্ডের পাশে রেলের জায়গায় টিকিট কাউন্টার, সঙ্গে ১১১ নম্বর রেলগেটের উপর উড়ালপুল, বেলডাঙার নিত্যযাত্রীরা যাতে সকাল ১০টার মধ্যে বহরমপুরে পৌঁছতে পারে তেমন একটি দৈনিক ট্রেনের বাবস্থা করতে হবে।
বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আজিজুল হক চৌধুরী বলেন, “নওদা, হরিহরপাড়া ও বেলডাঙার মানুষ ওই স্টেশনের উপর নির্ভরশীল। রেল প্রতিমন্ত্রী আমাদের জেলার। ফলে আশা করছি, দশ বছরের দাবি এ বার মিটবে।” বেলডাঙা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ভরত ঝাওর বলেন, “বেলডাঙা স্টেশনে আগে রেলের একটি হাসপাতাল ছিল। এখন তার অস্তিত্ব নেই। সেটা যদি চালু করা যায়।” বেলডাঙার কংগ্রেস বিধায়ক সফিউজ্জামান বলেন, “১১১ নম্বর রেলগেটের উপর উড়ালপুল-সহ স্টেশনের বিভিন্ন পরিষেবা সংক্রান্ত দাবি এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের। আমাদের দলের রেল প্রতিমন্ত্রী ওই সব দাবি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন বলেই মানুষের আশা।”
নিত্যযাত্রী তপন সাহার কথায়, “দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম তুলনায় ছোট থাকায় পাথরের উপর নামতে হয়। প্রতিদিন দুর্ঘটনার সংবাদও পাওয়া যায়। প্ল্যাটফর্ম বাড়ানো হলে সমস্যার সমাধান হবে।” রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অক্টোবরে ১১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৬৩ টাকার অংসরক্ষিত টিকিট বিক্রি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সংরক্ষিত টিকিট বিক্রি হয়েছে ১১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩৫৪ টাকার। এ ছাড়াও বেলডাঙার চারপাশে প্রচুর কৃষিপ্রধান গ্রাম রয়েছে। সেখানের কপি, লঙ্কা, বিভিন্ন সব্জি প্রতিদিন রাতের ট্রেনে করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “সমস্যার কথাগুলি জানি। সমস্যাগুলি লিখিত ভাবে দেওয়ার জন্য ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিদের বলেছি। সেগুলি পেলেই সাধ্য মতো ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।” |