|
|
|
|
দিঘায় মন মজেছে মাছ ভাজায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
মাছ ভাজা খেতে ভারি মজা!
সেই ভাজা মাছ চেখে ও চোখে দেখার লোভেই মৎস্যপ্রিয় বাঙালির প্রতিনিধি হিসাবে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে দ্বিতীয়বার তাপসবাবু সবান্ধব ছুটে এসেছেন দিঘার। দিঘা মোহনায় ধোঁয়া ওঠা সার্ডিন মাছ ভাজায় কামড় দিয়ে তিনি জানালেন, “এই প্রথম সার্ডিন মাছ দেখলাম আর ভাজা খেলাম। অসাধারণ।’’
রসনার পরিতৃপ্তি আর ইচ্ছেমত সামুদ্রিক মাছের বিভিন্ন পদ চেখে দেখার জন্য চার দিনের দিঘা মোহনার সি ফুড ফেস্টিভ্যালে এ বার চতুর্থ বর্ষে পড়ল। শুরু হয়েছে বুধবার। উৎসবের দ্বিতীয় দিনেই মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। শুধু তাপসবাবু বা তাঁর বন্ধুরাই নয়, হুগলি, আসানসোল, দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর এমনকী হলদিয়া থেকে অনেকেই ছুটে এসেছেন ইলিশ, পাবদা, চিংড়ি, চিতল, লবস্টার, পার্শে, তোপসে, ম্যাকরিল, রীবন ফিস, ভোলা, ভেটকি, সার্ডিন-সহ নানা মাছের স্বাদ নিতে। কেউ অর্ডার দিচ্ছেন ইলিশের পাতিুর, কেউ চিংড়ির মালাইকারি, কেউবা তোপসে মাছের ফ্রাই। এক দিকে সামুদ্রিক মাছের প্রদর্শনী, আর অন্য দিকে মৎস্য রসিকদের রসনার পরিতৃপ্তির জন্য প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ রকমের সামুদ্রিক মাছের রান্না করা হাতে গরম পদ। দিঘা মোহনায় গঙ্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এ বারও বুধবার রাতে দিঘা মোহনায় ‘দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘সি ফুড ফেস্টিভ্যাল’। বুধবার রাতে এর উদ্বোধন করেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। অ্যাসোসিয়েশনের সচিব শ্যামসুন্দর দাস জানালেন, “১৩০ রকমের সামুদ্রিক মাছের প্রদর্শনী ছাড়াও ৩০-৩৫ রকমের মাছের রান্না করা বিভিন্ন পদ পাওয়া যাবে। এগুলির দামও রাখা হয়েছে সাধ্যের মধ্যে। মাত্র চল্লিশ টাকা থেকে একশো টাকা প্রতি প্লেট।” শুধু বহিরাগত মৎস্যপ্রেমীরাই নন, স্থানীয় মানুষজনও রয়েছেন বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রণবকুমার কর। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই সি ফুড ফেস্টিভ্যাল। শুধু পরখ করাই নয়, চাইলে বাড়ি নিয়ে যাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। আয়োজকদের আশা, একবার খেলে এই মাছ বাঙালির হেঁসেলে স্থায়ী জায়গা করে নেবে।
দিঘায় সমুদ্র উৎসব চললেও, মানুষের মন মজেছে সি ফুড ফেস্টিভ্যালেই। তবে ভিড়ের মধ্যেই শোনা গেল আক্ষেপ, গতবারের মতো ভাতের সঙ্গে মাছ মেখে পাত পেড়ে খাওয়া হল না যে! |
|
|
|
|
|