|
|
|
|
ধান দেব মেপে |
এগরা মহকুমা |
পাঁচটি সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে ধান কিনছে রাজ্য সরকার। কিন্তু চাষিরা কি আদৌ
সরকারি শিবিরে ন্যয্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন ধান? না কি খোলাবাজারে অভাবী বিক্রিই ভবিতব্য?
|
হৃষিকেশ নায়ক
বড় চাষি,
গ্রাম পঁচেট,
পটাশপুর ২ ব্লক
১২ বিঘা জমিতে ৫১ কুইন্টাল ধান হয়েছে। গ্রামেই সমবায় সমিতি। কিন্তু ওরা ধান কেনে দেরিতে। তাই ১৪ কিলোমিটার দূরে চালকলে গিয়ে ৩০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছি। এতে লাভও বেশি হয়।
|
|
অনিল মাইতি
প্রান্তিক চাষি,
গ্রাম কীর্তিপুর,
এগরা ২ ব্লক
২২ কুইন্টাল ধান হয়েছে। দেনা শোধ করতে তাড়াতাড়ি স্থানীয় ফড়ের কাছে হাজার টাকা কুইন্টাল দরে ১৪ কুইন্টাল বিক্রি করে দিয়েছি। চালকল ১৬ কিমি দূরে। সমবায় সমিতি কাছে হলেও ধান কিনতে দেরি করে। |
|
নীলমাধবদাস অধিকারী
সভাপতি,
পঁচেটগড় সমবায় কৃষি,
পঁচেটগড়
সদস্য সংখ্যা ৬৮৫। চলতি মাসের শেষ দিকে ধান কেনা হবে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারি না। কারণ আমাদের কাছে অত টাকা নেই। ঋণ নিয়ে ধান কিনি। তায় চালকল ধান নিতে দেরি করে। |
|
বরেন্দ্রনাথ পাত্র
সভাপতি,
পটাশপুর রাইসমিল,
প্রতাপদিঘি
১০০ টন ধান, ১৪০ টন চাল মজুত করা যায়। ধান কেনা শুরু হয়েছে জানুয়ারিতেই। চেক দেওয়া হচ্ছে। গতবার লেভি দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ টন চাল। ক্ষতি হওয়ায় ১৫০ টন দেওয়া হয়েছে। |
|
শশাঙ্কশেখর কুঙর
খাদ্য নিয়ামক,
এগরা মহকুমা,
এগরা
৩৬টি সমবায়ের মধ্যে ১০টি ও তিনটি চালকল ধান কেনা শুরু করেছে। চালকল এবং সমবায়গুলি গড়িমসি করায় সার্বিক ভাবে ধান কেনার কাজে দেরি হচ্ছে। তবে, এখনও অনিয়মের কোনও অভিযোগ পাইনি। |
|
|
|
|
|
|