মরসুমের মাঝপথে যে সালগাওকরকে ছেড়ে মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন, গোয়ার সেই দলের বিরুদ্ধেই অবনমন বাঁচানোর প্রথম লড়াই টোলগেদের!
মারগাওতে রবিবার ডেভিড বুথের মুখোমুখি হতে হবে করিম বেঞ্চারিফাকে। অন্য সময় হলে হয়তো একটা নিরামিশ ম্যাচ হত এটা। কিন্তু এ বার ম্যাচটা অন্য রকম। কারণ দু’দলের কাছেই এটা অবনমন বাঁচানোর একটা সিঁড়ি। নিঃসন্দেহে বাড়তি চাপ সবুজ-মেরুনের মরোক্কান কোচের ওপর। করিম অবশ্য তা মানছেন না। উল্টে বৃহস্পতিবার বলে দিলেন, “আমার উপর আলাদা কোনও চাপ নেই।”
এর আগে, ১৩ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ধুঁকতে থাকা সালগাওকরের দায়িত্ব নিয়ে ছয় নম্বরে তুলেছিলেন করিম। এ বার তো ১০ ম্যাচ খেলার পর শূন্য থেকে শুরু করতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। “শূন্য থেকে মোহনবাগানকে শুরু করতে হচ্ছে ঠিকই। তবে এটাই তো আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জের। সালগাওকরকে নিয়ে পেরেছিলাম, এখানে পারব না কেন?” বলে দিলেন করিম।
করিমের এই লড়াকু মানসিকতাই যেন ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দলের মধ্যে। অবনমন বাঁচানোর ভাবনায় মোটেও চিন্তিত নন টোলগে-রহিম নবিরা। বরং আই লিগে খেলতে পারার উৎসাহে পুরো দলের বডি ল্যাঙ্গোয়েজই বদলে গেছে। নবি তো বলে দিলেন, “১৬টা ম্যাচ হাতে রয়েছে। অবনমন বাঁচানো মোটেও কঠিন নয়।” টোলগেরও একই রকম মত, “এখন লিগ তালিকার শেষের দিকে থাকা দলগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ছুঁয়ে ফেলতে হবে। তবেই আর কোনও সমস্যা থাকবে না।”
তবে এই পরিস্থিতিতে ওডাফার না থাকাটা বড় সমস্যা বাগানের। টোলগে বলছিলেন, “এ বার আমি আর ওডাফা একসঙ্গে সেভাবে খেলতেই পারলাম না।” নিজের দলের খারাপ সময়ে খেলতে না পারার যন্ত্রণা দিচ্ছে নাইজিরিয়ান গোলমেশিনকেও। একেবারে চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন ওডাফা। এখন শুধুই সোমবারের সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে তিনি। ওডাফাকে কীভাবে শাস্তি থেকে বাঁচানো যায় তা নিয়ে এ দিন কর্তারা কথা বলেন। ক্লাব তাঁবুতে এসেছিলেন চিমাও। ওডাফার এজেন্ট হিসাবে নিয়ে যান বাকি টাকার কিছুটা। |