বরাত যা মিলেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি গাছ কাটার অভিযোগ উঠল এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-২ ব্লকের গৌরা পঞ্চায়েতের প্রধান। গত নভেম্বর মাসে বন দফতরের অনুমতি নিয়ে এবং সরকারি নিয়ম মেনেই রামপুর গ্রামের ১৪৩টি বিভিন্ন ধরনের গাছ কাটার টেন্ডার ডাকে পঞ্চায়েত। টেন্ডার পান ওই ব্লকেরই দুবরাজপুরের বাসিন্দা শেখ সফিকুল। অভিযোগ, টেন্ডারে যত সংখ্যক গাছ কাটার অনুমতি ছিল, তার চেয়েও শতাধিক বেশি গাছ কেটে পাচার করে দিয়েছেন ঠিকাদার। স্থানীয় বাসিন্দারা তা লক্ষ্য করে প্রতিবাদ জানালেও কান দেয়নি কেউ। এমনকী তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান প্রভাসচন্দ্র মণ্ডলকে বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি। এরপরেই স্থানীয় লোকজন বিডিও, ঘাটালের মহকুমাশাসক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানান। বিডিও অরূপ মণ্ডল তদন্তে নেমে প্রায় এক মাস ধরে এলাকায় ঘুরে-ঘুরে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পান। এরপরেই বিডিও প্রধানকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ৮৪টি বেশি গাছ কাটা হয়েছে অনুমতি ছাড়া। যার মধ্যে খিরিশ, শিশু-সহ মূল্যবান গাছের সংখ্যাই বেশি। স্থানীয় মানুষের হিসাব অনুযায়ী অবশ্য সংখ্যাটা ১৩৫। পঞ্চায়েতের প্রধান প্রভাসচন্দ্র মণ্ডল জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাসপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত ঠিকাদার অবশ্য এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
|
ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঠেকাতে ওড়িশার ব্রহ্মপুর জেলার রম্ভা বাইপাস থেকে পালুর জংশন পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল লাইনের দু’ধারে সৌরশক্তির বেড়া বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ওড়িশা বন দফতর। ইতিমধ্যেই তার জন্য রেলে জমিতে বেড়া বসানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও তা মেলেনি। সম্প্রতি এই জায়গাতে দু’বার ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ছ’টি হাতির। বনকর্তাদের বক্তব্য, সৌরশক্তি বাহিত এই বেড়া হাতি মৃত্যুর কারণহবে না, আবার রেল লাইন থেকে হাতিদের দূরে রাখবে। তাতে হাতির মৃত্যু বন্ধ হবে। |