|
|
|
|
বিহার বিজেপি সভাপতি হলেন মঙ্গল পাণ্ডে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
অবশেষে বিহারের রাজ্য বিজেপি সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন মঙ্গল পাণ্ডে। এবং তা-ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সি পি ঠাকুরকে শীর্ষ নেতৃত্ব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই মানা করেন। ফলে মঙ্গল পাণ্ডের জয় সহজ হয়ে যায়।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, নিজের ঘনিষ্ঠ নেতা সি পি ঠাকুরকে বিহারে সভাপতি পদে এনে সে রাজ্যে দলের উপরে নিজের প্রভাব বিস্তারের যে চেষ্টা করেছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তা-ও সম্ভব হল না। উল্টে বিহার-রাউন্ডে জিতে গেলেন নীতীশ কুমার। কারণ, মঙ্গল পাণ্ডের সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক ভাল। সম্প্রতি নীতীশের ইচ্ছেতেই বিহার বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়েছেন মঙ্গল। শরিক দলের দুই মুখ্যমন্ত্রীর এই স্নায়ুযুদ্ধে আপাতত নীতীশই এগিয়ে রইলেন।
সি পি ঠাকুরকে বিহারে দলের সভাপতি করতে মোদী যেমন গত কয়েক মাস ধরে সক্রিয় ছিলেন, তেমনই তাঁকে আটকাতে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছিলেন নীতীশ। সেই বার্তা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদীকেও জানিয়ে দেয় নীতীশের দল জেডি(ইউ)। সি পি ঠাকুরের সঙ্গে সুশীল মোদীর সম্পর্কও ভাল না। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তিনি জানান, সি পি ঠাকুরকে পুনর্নির্বাচিত করলে জোটে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে তা কাম্য নয়। অন্য দিকে, মঙ্গল পাণ্ডে সম্পর্কে সুশীলের যুক্তি ছিল, উনি এক জন ব্রাহ্মণ নেতা। তাই ওঁকে রাজ্য সভাপতি করলে উচ্চবর্ণের ভোটারদের বার্তা দেওয়া যাবে। তা ছাড়া নীতীশের সঙ্গে মঙ্গলের সুসম্পর্ক রয়েছে। তবু শেষ চেষ্টা করেন সি পি ঠাকুর।
চলতি সপ্তাহে দিল্লি এসে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তত দিনে নীতীশের অসন্তোষের কথা মাথায় রেখে অরুণ জেটলিরা সক্রিয় হয়েছেন মঙ্গলকে সভাপতি করতে। তাই সি পি ঠাকুরকে মনোনয়ন জমা দিতে মানা করেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিহার নিয়ে টানাপোড়েন মিটলেও শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে নতুন চিন্তা ওড়িশা। আজ ওই রাজ্য থেকে দলের জনা চল্লিশেক নেতার একটি দল রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে। দাবি, অবিলম্বে ওড়িশায় সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। আগামিকাল তাঁরা অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও দেখা করবেন।
দলটির অভিযোগ, ওড়িশার বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান সভাপতি পদে নিজের প্রার্থীকে বসাতে চাইছেন, যা ওঁরা চাইছেন না। |
|
|
|
|
|