পাক সীমান্ত পেরিয়ে জাল নোটের অনুপ্রবেশ একেবারে গোড়া থেকে বন্ধ করতে ‘টাইপোলজি’ নামের এক কূটনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চলেছে নয়াদিল্লি। এর ফলে পাকিস্তান যে সমস্ত দেশ থেকে নোট ছাপার প্রযুক্তি ও কাঁচামাল আমদানি করে, সেই সব দেশের সরকারের উপরে চাপ বাড়ানো যাবে।
৩৪টি দেশ নিয়ে গড়া ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ) নামে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দু’বছর আগে সদস্য হয়েছে নয়াদিল্লি। বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়া এই মঞ্চের লক্ষ্য, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ জোগানের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা। এই এফএটিএফ পরিচালিত একটি প্রকল্পই হল ‘টাইপোলজি’, যা কাজে লাগাতে চাইছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, “যে জাল নোট প্রতিবেশী দেশ থেকে আসছে, উচ্চ প্রযুক্তি ছাড়া তেমন নিখুঁত নোট তৈরি সম্ভব নয়। যে ছাঁচ, রঙ এবং মুদ্রণ ব্যবহৃত হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে, ইসলামাবাদে তেমন তৈরি করা সম্ভব নয়। বড় শিল্পোন্নত দেশগুলিতেই এমন হওয়া সম্ভব।”
এ বার ‘টাইপোলজি’ প্রকল্পে জাল নোট সংক্রান্ত প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে এফএটিএফ-ভুক্ত দেশগুলি (যার মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সুইৎজারল্যান্ড, ব্রাজিল, আমেরিকা, ব্রিটেন, চিনের মতো দেশ) নিজস্ব আইনি সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই খতিয়ে দেখবে যে, তাদের থেকে কোনও কাঁচামাল বা কারিগরি ব্যবস্থা নিয়ে ইসলামাবাদ জাল নোট ছাপার কাজে ব্যবহার করছে কি না। সার্বিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই মঞ্চ থেকে এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব-সহ রিপোর্ট তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই প্রস্তাবগুলি মানতে হবে এই ৩৪টি দেশকে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই প্রস্তাব গ্রহণের ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলি সতর্ক হবে। পাকিস্তান তাদের পাঠানো কাঁচামাল কী ভাবে ব্যবহার করছে, সে ব্যাপারেও নজরদারি রাখা হতে পারে। |