জমির সীমানা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বিবাদকে ঘিরে বোমাবাজিতে বুধবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের চিটকুর মোড়ের মেহেঙ্গা এলাকা। বোমার আঘাতে দু’জন জখম হয়। খবর পেয়ে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জমির সীমানা নির্ণয়কে কেন্দ্র করে ওই গোলমাল হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমির সীমানা নির্ণয়কে কেন্দ্র করে এ দিন দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধে। দুই পরিবারের তরফে একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ এনেছে। স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় রেশন ডিলার জাকির হোসেনের পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, তাঁদের জমি ঘেরা দেওয়ার সময় এক পড়শি বাধা দেয়। পরে সমস্যা মেটানোর জন্য বৈঠক করার কথা বলা হলে শান্ত হয়। কিন্তু আচমকা বাড়ি লক্ষ করে বোমা ছুড়তে শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। জাকিরের ভাই আজাদ হোসেন বলেন, “জমি ঘিরতে গেলে বাধা দেয় পড়শি তসিরুলের পরিবারের লোকজন। পরে তাদের ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। গাড়ি ভাঙচুর করে। রেশন দোকানে লুঠপাট চালায়।”
তাসিরুল হোসেন অবশ্য ওই অভিয়োগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমাদের কেউ বোমা ছোড়েনি। নিজেরা বোমা ছুড়ে আমাদের নামে দোষ দেওয়া হচ্ছে। ওদের বোমার আঘাতে আমার দুই ভাই মহম্মদ রাজা ও মহম্মদ কালুউদ্দিন জখম হয়েছে। তাদের ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” তাসিরুলের অভিযোগ, তাঁদের জমির বৈধ কাগজ রয়েছে তবুও ঘেরা দিতে যান আজাদ ও তার পরিবারের লোকজন। বাধা দিতে গেলে ওরা চড়াও হয়। পারিবারিক বিবাদ হলেও ওই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘটনার জন্য একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছেন। কংগ্রেসের ইসলামপুর ব্লকের অন্যতম নেতা জাকির হোসেন বলেন, “জমির সীমানা নিয়ে বিবাদের সুযোগ নিয়ে সিপিএম দুষ্কৃতীদল হামলা করে।” সিপিএমের ইসলামপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক স্বপন গুহনিয়োগী বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের দলের প্রভাব নেই। মিথ্যা অভিযোগ তুলে কী লাভ!” |