ধূপগুড়িতে ধান কেনার চেক বাউন্সের বিষয় চালকল মালিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সম্প্রতি ধূপগুড়িতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির পর চেক নিয়ে ১৫ জন কৃষক তা ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে টাকা হাতে পাননি। বুধবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার গৌরীহাট এবং ঘুঘুডাঙায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনার তদারকিতে যান মন্ত্রী। গৌরীহাটে ২০ জন এবং ঘুঘুডাঙায় ১৭ জন কৃষকের হাতে ধান বিক্রির চেক তুলে দেন। সেখানে চালকল মালিকদের হুঁশিয়ার করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “চেক বাউন্স হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। যে চালকল মালিকের চেক বাউন্স হয়েছিল তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এরপর চেক বাউন্স হলে আইনগত ব্যবস্থা হবে।” চালকল মালিক সংগঠন, জলপাইগুড়ি রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “ইচ্ছে করে কেউ ওই রকম চেক দেননি। অনেক সময় চালকল মালিক নির্ধারিত টাকা নিয়ে গেলেও প্রচুর কৃষক ধান বিক্রি করতে আসায় সমস্যার সৃষ্টি হয়।” |
খাদ্যমন্ত্রী জানান, চালকল মালিক সরকার নির্ধারিত মূল্য ছাড়া ধান কিনতে পারবেন না। এ বিষয়ে চালকল মালিকদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে ওই কৃষক কার কাছে কত টাকা দিয়ে ধান বিক্রি করেছেন। মন্ত্রী জানান, বন্ধ দলমোড় এবং ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক চা শ্রমিকরা মাসে ১০ কেজি করে চাল পাবেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, ফালাকাটায় ৫ হাজার টন চাল রাখার মত একটি গুদাম নির্মান করা হবে। জেলার চারটি নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাধ্যমে সব সময়েই ধান কেনা হবে। এ দিন জলপাইগুড়ির খারিজা বেরুবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙাকে একটি পাকাপাকি ধান কেনার কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “ কেন্দ্রগুলিতে ৫ কিলোগ্রাম ধান আনলেও তা কেনা হবে এবং রাত ন’টার সময় কেউ ধান আনলে তাও কেনা হবে। ” খাদ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে কটাক্ষ করে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রবাল রাহা বলেন, “এখন পঞ্চায়েত ভোট আসছে তাই প্রতিশ্রুতির বন্যা বইবে।” ঢেকলাপাড়া এবং দলমোড় বাগানের ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের মাসে দশ কেজি চাল দেওয়া নিয়ে তার প্রশ্ন, “৬৫ বছরের কম যুবক-যুবতী ও শিশুরা কী বাতাস খেয়ে বাঁচবে?” |