১০০ দিন কাজের প্রকল্পে একটি পুকুরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল ইন্দাসে। বুধবার স্থানীয় চকসাপুর গ্রামের ঘটনা। সংঘর্ষে জখম হলেন ১০ জন। তাঁদের মধ্যে চার জন তৃণমূল কর্মীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১০০ দিন প্রকল্পে কাজের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
সিপিএম পরিচালিত আমরুল পঞ্চায়েতের চকসাপুর গ্রামে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে সাত দিন ধরে একটি পুকুর সংস্কারের কাজ চলছে। সুপারভাইজার পল্টু পালের অভিযোগ, “এ দিন সকালে শেখ সমসের-সহ কয়েকজন এসে কাজ বন্ধ করার হুমকি দেয়। কেন কাজ বন্ধ থাকবে, তা জানতে চাইলে উল্টে ওরা আমাদের গালিগালাজ করে। খানিক পরে বাইরে থেকে বেশ কয়েক জনকে নিয়ে এসে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়।” স্থানীয় সূত্রের খবর, শ্রমিকরা বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পল্টুবাবু এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গুরুপদ মেটের অনুগামী বলে পরিচিত। অন্য দিকে, গুরুপদবাবুর বিরোধী দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের অনগামী হলেন দলের ব্লক কমিটির সদস্য শেখ সমসের। ওই সংঘর্ষে শেখ সমসের-সহ সাত জন জখম হন। শ্রমিকদের মধ্যে তিন জন চোট পান। সমসেরের দাবি, “আমি পুকুরপাড় দিয়ে যাচ্ছিলাম। বিনা প্ররোচনায় ওরা আমাকে মারধর করে। আমাকে উদ্ধার করতে কিছু লোক এলে তাদেরও মারধর করা হয়।” রবিউল হোসেনের অভিযোগ, “দলেরই কিছু লোক সিপিএমের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে আমাদেরই কিছু লোকের উপর হামলা চালিয়েছে।” এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শেখ রমজান আলি-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। গুরুপদবাবুর দাবি, “ঘটনাটি খোঁজ নেব।” সিপিএমের ইন্দাস জোনাল সম্পাদক অসীম দাসের কটাক্ষ, “পঞ্চায়েত আমাদের হলেও তৃণমূলের নেতাদের কথা মতোই চলছে। তৃণমূলের দু’গোষ্ঠী ওই প্রকল্পের কাজের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মারপিট করেছে।” পঞ্চায়েত প্রধান শেখ নাসিরুদ্দিন বলেন, “গোলমালের কারণ জানি না। তবে ওই ঘটনার জেরে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” |