তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মৃদু বিস্ফোরণের ঘটানোর অভিযোগে ধৃত যুবক জেরার মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে দাবি করল পুলিশ। রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানান, মঙ্গলবার রঘুনাথপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট জিগীষেন্দ্র সিংহের উপস্থিতিতে সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিক এবং সিআইডি-র কাছে মহম্মদ ইনতিয়াজ আনসারি নামের ধৃত ব্যক্তি নিজের দোষ কবুল করেছেন। ইনতিয়াজ আধিকারিকদের সামনে অপরাধের পুননির্মাণও করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের টার্বো জেনারেটর চত্বরে সামান্য বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সিসিটিভি ফুটেজে এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল, তেলের পাইপলাইনে কিছু কাজ করতে। প্রথমে রাজ্য পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে বিদ্যুৎমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তদন্তভার নেয় সিআইডি। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পাওয়া ছবির ভিত্তিতে সাঁওতালডিহিরই কাঁকি বাজারের বাসিন্দা ইনতিয়াজকে ধরে পুলিশ। আদালতে তাঁর পুলিশ হেফাজত হয়। সিআইডি-র সদর দফতর, কলকাতার ভবানী ভবনে নিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বুধবার ধৃতকে ফের রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক জেলহাজতের নির্দেশ দেন।
এসডিপিও জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ধৃত ব্যক্তি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ স্বীকার করেছেন। এসডিপিওর কথায় “পুলিশের সামনে অপরাধ স্বীকার করলেও পরে মামলা চলাকালীন সেই স্বীকারোক্তি আদালত প্রামাণ্য নথি হিসাবে গ্রহণ নাও করতে পারে। কিন্তু, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের কোন আধিকারিকের সামনে অপরাধ স্বীকার করলে সেই বিষয়টি প্রামাণ্য নথি হিসাবেই আদালত দেখে।” তবে, প্রথমে সাঁওতালডিহি থানায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিকিউরিটি সুপারভাইজার অন্তর্ঘাতের অভিযোগ দায়ের করলেও এ দিন পুলিশ দাবি করেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রে দামি যন্ত্র চুরির উদ্দেশ্যেই ঢুকেছিল ইনতিয়াজ। এসডিপিও বলেন, “ধৃত ব্যক্তি দাবি করেছে, টার্বো জেনারেটর চত্বরে দামি যন্ত্র রয়েছে এই মর্মে খবর পেয়ে চুরি করতেই সে ঢুকেছিল।” |