একদিকে মায়াবী সুন্দরবনের গভীর জঙ্গল, অন্য দিকে মানুষের বসবাস। মাঝে গোমতি, রায়মঙ্গল, ঝিলা, বাঘনা এবং কালিন্দী এই পাঁচটি নদীর সঙ্গমস্থলে মকর সংক্রান্তির দিনে পুণ্যলাভের আশায় ‘কল্পগঙ্গা’য় স্নান করলেন কয়েক হাজার মানুষ। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার যেসব মানুষজন অর্থের অভাবে বা বয়সের ভারে এই বিশেষ দিনটিতে গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না, তাদের কথা ভেবে বছর ২০০১ সালে কমিটি গড়ে শুরু হয় হেমনগরের হিঙ্গলগঞ্জে পঞ্চনদীর সঙ্গমস্থলে কল্পগঙ্গায় মকরসংক্রান্তির দিনে পুন্যস্নান। পাঁজি পুঁথি দেখে এই স্নানের বিধান দেন পুরোহিত অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকে বছর বছর বেড়েই চলেছে পুন্যার্থীদের সংখ্যা। সুন্দরবনের সামসেরনগর, যোগেশগঞ্জ রমাপুর, গোবিন্দকাটি-সহ সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যেমন মানুষজন আসেন, তেমনই মেদিনীপুর, বহরমপুর এমনকি কলকাতা থেকেও বহু মানুষের লোকসমাগম দেখা যায় এখানে। পেতলের পাত্রে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির পুন্যভূমির অংশ, জল ও ফুল এনে হেমনগরে পঞ্চনদীর ধারে কপিল মুনির মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছিল অস্থায়ী মন্দির। সেই মন্দির প্রাঙ্গনে সারাদিন ধরে চলে পদাবলি, সংকীর্ত্তন, কথামৃত ও ভাগবত পাঠ। পলিথিনের তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা থাকছে দূর থেকে আসা পুন্যার্থীদের। ওই নৈশাবাসের সামনে রায়মঙ্গল নদীর ধার ঘেঁষে ছোট ছোট আরও অনেক তাঁবু। তার নিচে বসে আছে সাধু-সন্তরা। মেলায় প্রতিদিন থাকছে যাত্রা, সিনেমা, কুই্যজ এবং নৃত্যের অনুষ্ঠান। স্নান করতে গিয়ে কেউ যাতে তলিয়ে না যায়, তার জন্য সজাগ দৃষ্টিতে নদীতে স্পিডবোট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিএসএফ, পুলিশ ও দেহরক্ষী। সকাল থেকেই পঞ্চনদীসঙ্গমে পুণ্যস্নানে নেমে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। সব মিলিয়ে যেন নতুন গঙ্গাসাগর।
গ্রেফতার স্বামী। স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বনগাঁর গোপালনগর থানার ভান্ডারখোলা এলাকায়। পুলিশ জানায়, ভান্ডারখোলার বাসিন্দা কেয়ামুদ্দিনের সঙ্গে ৫ বছর আগে বিয়ে হয় শুল্কা দুর্গাপুরের বাসিন্দা মরিয়ম খাতুনের। তাঁদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। মরিয়ম বিবির বাবা অহেদ মণ্ডলের অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই জামাই ও মেয়ের শাশুড়ি মেয়ের উপর অত্যাচার করত। আমরা মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছিলাম। মাস তিনেক আগে জামাই এসে মেয়েকে নিয়ে যায়। তারপর শনিবার সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।” |