রাজনৈতিক আমরা-ওরা’র থেকেও মহকুমা কৃষি মেলায় প্রকট হয়ে গেল প্রশাসনিক আমরা-ওরা। মঙ্গলবার তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হওয়া মহকুমা কৃষি মেলাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে মহকুমা প্রশাসন ও মহকুমা কৃষি দফতরের মধ্যে। কৃষি দফতরের অভিযোগ, মহকুমা কৃষি মেলাতে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে খোদ কৃষি দফতরকেই। কৃষি মেলার নামে যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন মহকুমাশাসক। অন্যদিকে মহকুমা প্রশাসনের সাফ জবাব, কৃষি মেলার জন্য বরাদ্দ চার লক্ষ টাকার ফান্ড এসেছে মহকুমাশাসকের কাছে। সেই জন্যই গোঁসা হয়েছে কৃষি দফতরের। ফলে মেলাটা যাতে সফল না হয় সে চেষ্টাই হচ্ছে। কৃষিকর্তা গৌতম সেনগুপ্তর ক্ষোভ, “এটা কি কৃষিমেলা চলছে নাকি অন্যকিছু? সরকারি কোন নির্দেশিকা না মেনেই নিজের মতো যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন মহকুমাশাসক। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আমিই এই মেলার আহ্বায়ক। অথচ চিঠিতে আমার নাম তো দূরের কথা, কৃষি দফতরের নাম এমনকি অশোক স্তম্ভটুকুও রাখার প্রয়োজন মনে করেননি মহকুমাশাসক। আসল কৃষকদের বাদ দিয়ে, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর মহিলা আর সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে এসে কৃষিমেলা করছেন।”
তেহট্টের মহকুমাশাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, “কৃষি দফতরের এত ক্ষোভের কারণটা কি? ওরা আগাম আমার কাছে টাকা চেয়েছিল, দিইনি বলে? সেই প্রথম থেকেই দেখে আসছি একমাত্র কৃষি দফতর ছাড়া অন্যান্য সব দফতরই কৃষি মেলাকে সার্থক করে তুলতে সমানে পরিশ্রম করছে। ওরা তো আলোচনাতেও থাকেনি।” এ দিকে মহকুমা কৃষি মেলায় যথারীতি কোন আমন্ত্রণ পাননি বলে জানিয়েছেন মহকুমার তিন সিপিএম বিধায়ক যদিও মহকুমা প্রশাসনের দাবি ওই তিন বিধায়ককেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। |