|
|
|
|
ইটভাটায় বিস্ফোরণ, তমলুকে জখম ৫ শিশু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ইটভাটার কয়লাচুল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে জখম হল পাঁচ শিশু। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার ধলহরা এলাকা। আহতদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , তমলুক শহরের কয়েক কিলোমিটার দূরে ধলহরা গ্রামে রূপনারায়ণের চরে বেশ কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। ভিন্ রাজ্য, জেলা থেকে আসা শ্রমিকরা ইটভাটা চত্বরে অস্থায়ী ভাবে সপরিবারে বসবাস করেন। বুধবার সকালে এই রকমই একটি ইটভাটায় কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের ছোট ছেলেমেয়েরাও কয়লাচুল্লির কাছে বসেছিল। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ আচমকা কয়লাচুল্লিতে বিস্ফোরণ হয়। চুল্লির গরম লোহার ঢাকনা ভেঙে টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিশুদের চোখে-মুখে লাগে। পাঁচ শিশু জখম হয়। সকলেরই আদত বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। ইটভাটার শ্রমিকরাই তাদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে রয়েছে একই পরিবারের তিন ভাইবোনবছর ছ’য়েকের পর্দান বইপাই, বছর চারেকের নারান্দার বইপাই ও এক বছরের সোমবারি বইপাই। এ ছাড়া আহত হয়েছে বছর সাতেকে বুলা পূর্তি ও এক বছরের পোলান শুণ্ডি। এদের মধ্যে পর্দান ও বুলার চোখে আঘাত লেগেছে। |
|
তমলুক হাসপাতালে আহত শিশুরা। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
এ দিন তমলুক হাসপাতালে আহত ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ছিলেন ওই ইটভাটার শ্রমিক বেশিং বইপাই। তিনি বলেন, “আমরা ভোর থেকে ইটভাটায় কাজ করছিলাম। ছোটরা তাপ পোহানোর জন্য কয়লাচুল্লির কাছে বসেছিল। আচমকা কয়লাচুল্লির ঢাকনা ফেটে গিয়ে ছিটকে ওদের গায়ে পড়ে।” ইটভাটার মালিক লক্ষ্মীকান্ত বেরার ছেলে অসিত বেরা বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কয়লাচুল্লি জ্বালানো হচ্ছে। এই রকম দুর্ঘটনা কখনও ঘটেনি। এ বার থেকে শিশুরা যাতে কয়লাচুল্লির কাছে না যায়, সেই দিকে নজর রাখা হবে।” |
|
|
|
|
|