সততা দেখিয়েও বিন্দুমাত্র শান্তি নেই। ডোপিং করে যতটা সমস্যায় পড়েছেন, ডোপিংয়ের কথা স্বীকার করে তার চেয়ে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে চলেছেন লান্স আর্মস্ট্রং। তারকা সাইক্লিস্টের জীবনে হয়তো এমন দিন আসছে, যখন রোজই কোনও না কোনও আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে তাঁকে। দিতে হবে কৈফিয়ত ও মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ। কারণ, গোটা আমেরিকায় তাঁর নামে মামলা ঠোকার তোড়জোর চলছে। এমনকী মার্কিন সরকারও সেই তালিকায় রয়েছে। সে সব মামলায় যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তা হলে জেলের ঘানিও টানতে হতে পারে এই কিংবদন্তি সাইক্লিস্টকে। বৃহস্পতিবার ওপরা উইনফ্রের টক শোয়ে যদি তিনি যাবতীয় ডোপিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নেন, তা হলে একের পর এক আইনি চিঠি পেতে শুরু করবেন আর্মস্ট্রং। তার পর একের পর এক শাস্তি। |
ওপরাকে দেওয়া আড়াই ঘণ্টার টিভি শোয়ে ডোপিংয়ের কথা কবুল করে নিয়েছেন বলেই জোর খবর। সিবিএস টিভিতে স্বয়ং ওপরা নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। বলেছেন, “আমি যতটা আশা করেছিলাম, ততটা পরিষ্কার করে কিছু বলেননি লান্স। কিন্তু যেগুলো সারা দুনিয়া শুনতে চায়, তা অবশ্যই পাওয়া গিয়েছে। কিছু কিছু উত্তর শুনে তো আমি এবং আমার ইউনিটের লোকেরা রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছি।”
গোল্ডেন গেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের অধ্যাপক পিটার কিনের বক্তব্য, “লান্স যখন ওর পারফরম্যান্স বর্ধক ড্রাগ নেওয়ার কথা মেনেই নিচ্ছে, তখন তো ওর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও অসুবিধাই নেই।”
আর্মস্ট্রংয়ের বিরুদ্ধে এখন আদালতে প্রতারণা ও আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করতে চলেছে মার্কিন সরকারের বিচার বিভাগ। স্পনসরশিপ হিসেবে যে তিন কোটি ডলার ব্যয় করেছে ডাক বিভাগ, তার অন্তত তিন গুণ ক্ষতিপূরণ অর্থাৎ ন’কোটি ডলার চাইতে পারে তারা।
শুধু মার্কিন সরকার নয়, লান্সের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার রাস্তায় যেতে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও। সব মামলায় হেরে ক্ষতিপূরণ দিতে হলে এক কালের মহা তারকাকে যে পথে বসতে হবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর উপর জেল যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকছেই। |