|
|
|
|
ব্লকে ব্লকে শিবির করে পাট্টা বিলি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একই দিনে শিবির করে চারশোরও বেশি পাট্টা বিলি করা হল মেদিনীপুর সদর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে। শিবির হল সেই দিনই, যে দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় এসে সরকারি মঞ্চ থেকে নিজে হাতে পাট্টা বিলি করলেন। বুধবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় এসে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বহু প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধনের সঙ্গে কৃষি সামগ্রী, পাট্টা বিতরণ করেন। তার আগে সকাল থেকে ব্লকে ব্লকে শুরু হয় পাট্টা বিলির শিবির। বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাদের হাতে চেকও তুলে দেওয়া হয়। |
|
পাট্টা বিলি, মেদিনীপুর বিডিও অফিসে। |
অলচিকি লিপি জানা সফল পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পার্শ্বশিক্ষকের নিয়োগপত্র। শিবির করে সবথেকে বেশি সংখ্যক পাট্টা বিলি হয়েছে কেশপুরে, ১৮৫টি। এগুলো ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পের পাট্টা। পরে এঁদের বাড়ি তৈরির জন্যও অর্থ দেওয়া হবে। পাট্টা বিলি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয় মেদিনীপুর সদর ব্লকে। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, বিডিও অয়ন নাথ প্রমুখ। এখানে সবমিলিয়ে ৯৪ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে ৬৬ জন ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে পাট্টা পেয়েছেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৃগেনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গরিব মানুষের জন্য কাজ করছেন। ভূমিহীন মানুষদের বাড়ি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই মতোই এই কর্মসূচি। আগামী দিনেও শিবির করে পাট্টা বিলি করা হবে।” গড়বেতা ১, ২, ৩ এই তিনটি ব্লকে গিয়ে পাট্টা বিলির কর্মসূচিতে যোগ দেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত। মহকুমাশাসক বেশ কয়েকজনের হাতে পাট্টার কাগজপত্র তুলে দেন। গড়বেতা ১ ব্লকে ৫৭ জন, গড়বেতা ২-এ (গোয়ালতোড়) ৬১ জন এবং গড়বেতা ৩ ব্লকে (চন্দ্রকোনা রোড) ৫৬ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়। শালবনিতে সব মিলিয়ে ৬৩ জনকে পাট্টা দেওয়া হয়। সঙ্গে ন’জন পার্শ্বশিক্ষকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। মেদিনীপুর সদর ব্লকেও ২৪ জন পার্শ্বশিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক বলেন, “আগামী দিনেও এমন শিবির হবে।” |
|
|
|
|
|