|
|
|
|
ছাত্রীকে গণধর্ষণ, চার্জগঠন ৩০ শে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলাটির বিচার চলবে মেদিনীপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। এই নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক সমর রায়। আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে মামলার বিচার প্রক্রিয়া। ওই দিন চার্জগঠন হবে। বিচারের জন্য মামলাটি আগেই দায়রা সোপর্দ করেছিল মেদিনীপুরের সিজেএম আদালত। এই মামলায় ধৃত সাত জনকে আগামী ৩০ জানুয়ারি মেদিনীপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হবে।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটেছিল খড়্গপুরের মথুরাকাটিতে। ওই দিন সন্ধ্যায় বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কয়েকজন যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। খড়্গপুরে দুষ্কৃতী-রাজের অভিযোগ নতুন নয়। তবে স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনা সাম্প্রতিক কালে ঘটেনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, গণধর্ষণের ঘটনায় মোট ৮ জন যুবক জড়িত। শুরুতে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি দু’জন দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। দু’জনই রেলকর্মী। আদালতের নির্দেশে গত ২৩ নভেম্বর এই দুই রেলকর্মীর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে এক জন আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। অভিযুক্ত সাত জনই জেল হেফাজতে রয়েছেন। ঘটনার তিন মাসের মাথায় আদালতের কাছে মামলার চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। গত ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, চার্জশিটে আইপিসি’র চারটি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। রয়েছে অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগ। অভিযুক্ত আট জন যে সরাসরি জড়িত, আদালতে তার তথ্যপ্রমাণও পেশ করেছে পুলিশ। চলতি মাসের ১১ তারিখ মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে মামলাটির দিন নির্দিষ্ট ছিল। ওই দিনই মামলাটি দায়রা সোপর্দ করেন সিজেএম কল্লোল দাস। মঙ্গলবার এই মামলায় ধৃতদের মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়েছিল। বিচারক নির্দেশ দেন, বিচার চলবে মেদিনীপুরের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে। পুলিশের বক্তব্য, পলাতক এক অভিযুক্তদের খোঁজে অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়েও পুলিশের একটি দল তল্লাশি চালিয়েছে। তবে খোঁজ মেলেনি। ওই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। |
|
|
|
|
|