চাষে সঙ্কট, বিদ্যুতের বিল মেটাননি পাম্পের মালিক
সেচের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে খানাকুল-১ ব্লকের সেকেন্দারপুর মৌজার প্রায় ৬০ বিঘা জমির আলু চাষ এবং ২২ বিঘা জমির বোরো ধানের বীজতলা। সংশ্লিষ্ট জমিগুলি সাবমার্সিবল পাম্পের মাধ্যমে যে সেচ ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল, সেই পাম্পের মালিক বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় গত ২৪ ডিসেম্বর পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার খানাকুল গ্রুপ সাপ্লাই। ফলে, সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। অবিলম্বে সেচ ব্যবস্থা চালুর দাবিতে তাঁরা বিডিও এবং ব্লক কৃষি আধিকারিকের কাছে ইতিমধ্যেই একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
যে অগভীর নলকূপ থেকে পাম্পের মাধ্যমে জমিগুলিতে সেচের জল দেওয়া হয়, সেই নলকূপের মালিক তাঁতিশাল গ্রামের বিকাশ হাজরা। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িও ঘেরাও করেছেন চাষিরা। ক্ষোভ-বিক্ষোভের জেরে অন্যত্র চলে গিয়েছেন বিকাশবাবু। তাঁর অভিযোগ, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গাফিলতিতে ত্রুটিপূর্ণ বিদ্যুৎ বিল এসেছে। তাই তা পরিশোধ করেননি তিনি।
চাষিদের ফসল নষ্টের সম্পূর্ণ দায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার, এই দাবি করে বিকাশবাবু বলেন, “ওই জমির আশপাশের অন্য অগভীর নলকূপগুলি থেকে ৬০-৭০ বিঘা জমিতে সেচ দিয়েও বিল আসছে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা। অথচ, প্রতিবার একই জল তুলে দু’বছর ধরে আমার বিল হচ্ছে ১০-১৩ হাজার টাকা।” এ প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “গত দু’বছর ধরে খারাপ মিটার পরিবর্তন করে যথাযথ বিলের দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু মিটার পরিবর্তন তো হয়ইনি, বিলের অঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। অথচ, দু’বছর আগে পর্যন্ত আমার বিল এসেছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। ত্রুটিপূর্ণ বিলের প্রতিকার না হওয়া পর্যন্ত আমার পক্ষে টাকা পরিশোধ করা সম্ভব নয়।”
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার খানাকুল সাপ্লাইয়ের স্টেশন ম্যানেজার বৃন্দাবন কর্মকার বলেন, ‘‘ওই অগভীর নলকূপ মালিক দু’বছর বিল মেটাননি। তাঁর এক লক্ষ ১৭ হাজার টাকার উপর বাকি। তাঁকে ৫০ শতাংশ টাকা পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেটাও করেননি।” তাঁর অভিযোগ, “বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়ার পর তিনি নিজেই বিদ্যুৎ সংযোগ করে অপরাধ করেছেন। চাষিদের যে ক্ষতি তিনি করেছেন, তাঁর ক্ষতিপূরণ তাঁকেই দিতে হবে।”
চাষিদের মধ্যে বরুণ পাল, বুদ্ধদেব দলুই, বনমালী খাঁ-রা জানান, সেচের জন্য তাঁরা নিয়মিত দাম দিয়েছেন নলকূপ-মালিককে। এই সেচের উপরেই নির্ভরশীল তাঁদের জমি। এখন আলু বা বোরো ধান চাষ না হলে তাঁরা সর্বস্বান্ত হবেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ব্লক কৃষি আধিকারিক হরষিত মজুমদার বলেন, “বিষয়টার সুরাহা বিডিও স্তরেই হতে পারে। তাঁকে চাষিদের অসুবিধার কথা জানিয়েছি।” বিডিও গোবিন্দ হালদার বলেন, “অগভীর নলকূপটির মালিককে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের অন্তত কিছুটা পরিশোধ করে চাষিদের স্বার্থরক্ষা করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে।”
স্মরণে স্বামীজি। নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ। শনিবার হাওড়া, আমতা এবং খরিয়াপে ‘শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেম বিহার আশ্রম’-এর উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিল ওই আশ্রমেরই ‘বিদ্যার্থী ভবন’-এর পড়ুয়ারা। উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের স্বামী জ্যোতিপ্রিয়ানন্দ, স্বামী ভবস্তিতানন্দ, স্বামী যোগসুন্দরানন্দ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.