|
|
|
|
বন্যার পূর্বাভাসে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার চায় রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাস পেতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল পশ্চিমবঙ্গ।
গাঙ্গেয় অববাহিকায় বন্যা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, তা নিয়ে আজ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশে ও উত্তরাখণ্ডের মতো একাধিক রাজ্য। ১৬ তম গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল বোর্ড (জিএফসিবি)-এর বৈঠকে বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করার কথা বলে কেন্দ্রীয় অনুদান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য। বৈঠকে রাজ্যের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সেচ ও জলপথ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে এ দিন তিনি জানিয়েছে, গঙ্গা অববাহিকায় পশ্চিমবঙ্গ একেবারে নীচের দিকে রয়েছে। ফলে গরমের সময়ে রাজ্যে জলের অভাব দেখা যায়, আবার বর্ষায় অন্য রাজ্য অতিরিক্ত জল ছেড়ে দেওয়ায় দেখা দেয় বন্যা। এই পরিস্থিতি বদলাতে গঙ্গা তীরবর্তী রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর দাবি করেছেন রাজীববাবু। সেই দাবি মেনে কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রী হরিশ রাওয়াত অবিলম্বে রাজ্যগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরা রাজ্যগুলির মধ্যে সুষম জল বণ্টন ও গঙ্গার পলি তোলার বিষয়টি দেখবে।
বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ ও বন্যার পূর্বাভাস আগে থেকে জানতে প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন রাজীববাবু। তিনি বলেন, “বিদেশে বন্যার পূর্বাভাস পেতে মোবাইল অ্যান্ড স্যাটেলাইট টেলিমেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার হয়। ওই ব্যবস্থায় কত বৃষ্টিপাত হলে কোন কোন এলাকায় বন্যা হতে পারে, তা আগাম জানা যায়।” ওই যন্ত্র বসাতে এককালীন ২০ কোটি টাকা প্রয়োজন। আজ রাজ্যের পক্ষে ওই যন্ত্র বসাতে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হলে, খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন হরিশ রাওয়াত।
অন্যান্য বৈঠকের মতো এখানেও রাজ্যের জন্য আর্থিক দাবিদাওয়া পেশ করেন রাজীববাবু। রাজ্যের যুক্তি, একাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মঞ্জুর হওয়া ৮১টি পরিকল্পনায় এখনও অর্থ দেয়নি কেন্দ্র। অথচ, দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা শুরু হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে আজ রাজীববাবু দিঘা উপকূলে ভাঙন রোধ, বেলেঘাটা ও লোয়ার বাগজোলা খাল সংস্কার ও কান্দি মাস্টার প্ল্যানের গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনাগুলির বরাদ্দকৃত অর্থ অবিলম্বে রাজ্যকে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|