|
|
|
|
|
টিকিট নিয়ে ক্ষোভ, ইস্তফা
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
|
প্রার্থীর টিকিট পাওয়া, না-পাওয়া নিয়ে দলীয় বিক্ষোভে জেরবার ত্রিপুরার কংগ্রেস। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে স্থানীয় নেতাদের বিক্ষোভ চলছেই। এরই মধ্যে আবার প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে চরম সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসেরই উপজাতি সেলের নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেসের এই শাখা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত কলই বলেন, ‘‘প্রদেশ নেতৃত্ব আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই আসন্ন নির্বাচনে উপজাতি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন।’’ এ ছাড়া, বাগমা কেন্দ্রে পাঁচ বারের বিধায়ক টিপিসিসি সদস্য রতিমোহন জামাতিয়াকে এ বার প্রার্থী করা হয়নি। অথচ কংগ্রেসে যে চার মহিলাকে উপজাতি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁদের কেউই এলাকায় পরিচিত মুখ নয় বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রদেশ কংগ্রেসের উপজাতি সেলের এই বিক্ষোভে মহারাজা প্রদ্যোৎকুমার দেববর্মারও সায় রয়েছে বলে সংগঠনের সম্পাদক দেবব্রতবাবুর দাবি। তিনি বলেন, প্রদেশ মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদক মণিহার দেববর্মাকেও এ বার টিকিট দেওয়া হয়নি। নিরূপমা চাকমা, যিনি ত্রিপুরা থেকে মনোনীত এআইসিসি-র সদস্য, তাঁকেও এ বার প্রার্থী করা হয়নি। এ ছাড়া, এসসি সেলের একজন মহিলাকেও কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত ১১টি আসন আইএনপিটিকে ছাড়া হল, অথচ বাকি ৯টি আসনে কারা প্রার্থী হবে তা উপজাতি সেলের নেতারা জানতেই পারল না। দেবব্রতবাবুর প্রশ্ন, ‘‘প্রদেশ নেতৃত্বের এ কী রকম খামখেয়ালিপনা?’’ উপজাতি নেতারা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে একটি চিঠি দিয়ে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছেন। জানানো হয়েছে ত্রিপুরা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈকেও।
প্রদেশ উপজাতি সেলের পদাধিকারীদের মধ্যে ৩২ জন ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলা স্তরের তিন জন চেয়ারম্যান, দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সাধারণ সম্পাদক। পদত্যাগীদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানান দেবব্রতবাবু। দেবব্রতবাবুরা রাজ্যের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ২০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। প্রার্থীর নাম আরও বাড়বে বলেও তিনি জানান। তাঁর বক্তব্য, নির্দল প্রার্থী হিসেবেই তাঁরা লড়বেন।
পাশপাশি, ত্রিপুরা কংগ্রেসের কর্মী এবং স্থানীয় স্তরের নেতাদের বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে চড়িলাম, কমলাসাগর, চণ্ডীপুর, খোয়াই, প্রতাপগড় কেন্দ্রে। নতুন সংযোজন কাঞ্চনপুর। খয়েরপুরেও শুরু হয়েছে অশান্তি। এর ফলে দলের ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে কয়েক জনের নাম বাদ পড়ে যাওয়ার ‘সম্ভাবনা’-ও দেখা দিয়েছে। প্রদেশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘‘বিক্ষোভের পরিণতিতে তিন-চার জন নতুন মুখের আমদানি হতে পারে।’’ যদিও প্রদেশ কংগ্রেসের মুখ্যপাত্র অশোক সিন্হা বলেন, ‘‘এ ধরনের বিক্ষোভ গত নির্বাচনের সময়ে অনেক বেশি হয়েছিল। ওদের সঙ্গে কথা বলব।’’ |
|
|
|
|
|