|
|
|
|
আইএনপিটি লড়বে ১১ আসনে, প্রার্থী রাংখল
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
আইএনপিটি যে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাত করছেই, তা জানিয়ে দিয়েছিল রবিবারই। আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য শেষ মুহূর্তেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দরকষি চালিয়েছিলেন আইএনপিটি প্রধান বিজয় রাংখল। কিন্তু পেরে ওঠেননি। শেষ পর্যন্ত ১১টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হল বিজয় রাংখলকে। তিনি দাবি করেছিলেন ১২টি আসন।
কংগ্রেসের জোটসঙ্গী আইএনপিটি গত কাল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। দশ জন প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা। এক জন প্রার্থীর নাম পরে ঘোষণা করা হবে। এখনও পর্যন্ত ঘোষিত প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই গত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বর্তমান বিধানসভায় আইএনপিটি-র একমাত্র বিধায়ক, দলের সভাপতি বিজয় রাংখল এ বারও প্রার্থী হয়েছেন আমবাশা কেন্দ্রে। এ ছাড়াও, প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন জগদীশ দেববর্মা। বাগমা কেন্দ্রের জ্যোতিষ জামাতিয়া, করবুকে ধর্যরায় ত্রিপুরা এবং রাইমাভ্যালির নক্ষত্র জামাতিয়া এ বার আইএনপিটি-র নতুন মুখ। জগদীশ দেববর্মা বলেন, ‘‘রাজ্যে জনগণের সরকার তৈরির জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠন করা হয়েছে।’’ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সদর কার্যালয় থেকে কংগ্রেস এবং আইএনপিটির নেতৃত্ব যৌথ ভাবে জোটের ঘোষণা করলেও, দু’দলের নির্বাচনী ইস্তাহার এবং প্রচারাভিযান একই সঙ্গে হবে কি না, এখনও সে বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কংগ্রেস মুখপাত্র রতন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এআইসিসি-র ইস্তাহার কমিটি ত্রিপুরার জন্য নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরি করছে।’’
অন্য দিকে, কয়েক দিন আগে ত্রিপুরা বামফ্রন্ট তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও বনমালিপুর কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম সেদিন জানানো হয়নি। বামফ্রন্ট ওই কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। প্রার্থী হচ্ছেন সিপিআইয়ের যুধিষ্ঠির দাস।
এ বারের নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধতে চেয়েছিল উপজাতি দল, ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ত্রিপুরা (এনসিটি)। জোট না হওয়ায় এনসিটি একাই নির্বাচনে লড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনসিটি ১১টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রধান অনিমেষ দেববর্মা। |
|
|
|
|
|