টুকরো খবর
ভূমিহীন-জাঠা সিপিএমের
দেশে গরিব ও ভূমিহীনদের মধ্যে জনভিত্তি বাড়াতে ‘বাড়ির জন্য জমি’র দাবিতে দেশের চার প্রান্ত থেকে দিল্লি পর্যন্ত জাঠা করছে সিপিএম। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় সিপিএমের তিন দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে। বৈঠকে জাঠা সফল করার উপরে সবার্ধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারিতে কলকাতা, কন্যাকুমারী, মুম্বই ও অমৃতসর থেকে মোটরবাইকের চারটি জাঠা দিল্লি পর্যন্ত যাবে। যাত্রাপথে সর্বত্র সভা করবে সিপিএম। এমন ভাবে দিন ধার্য করা হচ্ছে, যাতে সংসদ চলাকালীন একই দিনে চারটি জাঠা দিল্লি পৌঁছতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ত্রিপুরার বাইরে দলীয় সংগঠনের বিস্তার না হওয়া নিয়ে সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আলোচনায় বসেছেন। নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। কিন্তু ফল হয়নি। কয়েক মাস আগে সিমলা শহরে মেয়র পদে সিপিএম প্রার্থী জিতলেও হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন, নানা আন্দোলনে বামেদের পতাকাতলে মানুষ সংগঠিত হলেও ভোটে তাঁরাই অন্য দলকে ভোট দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে গরিবদের মধ্যে দলের প্রচার ও জনভিত্তি বাড়াতেই জাঠা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নীলোৎপল বসু বলেন, “আমরা ভূমিহীন মানুষের বাড়ির জন্য জমির দাবি করছি। আদিবাসীরা তো বটেই, সমাজের বিভিন্ন স্তরের গরিব মানুষের জন্যই এই দাবি।”

‘ড্যান’ জোট নাগাল্যান্ডে
ভোটের আগে নাগাল্যান্ডের শাসক ‘ড্যান’ জোট নতুন করে গড়ে উঠল। নাগাল্যান্ডে এনপিএফ-এর নেতৃত্বে ২০০৩ সালে কংগ্রেসকে হারিয়ে নতুন সরকার গড়া হয়। এনপিএফ-এর সঙ্গে যোগ দেয় বিজেপি ও সংযুক্ত জনতা দল। জোটের নাম হয় ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স অফ নাগাল্যান্ড’ বা ড্যান। পরের নির্বাচনেও জোট অক্ষুণ্ণ থাকে। ড্যান জোটই গদি বজায় রাখে। তবে ২০০৯ সালে বিজেপির ২ বিধায়ক ও গত বছর এনসিপির ২ বিধায়ক এনপিএফ দলে যোগ দেওয়ার পরে ‘ড্যান’ জোট ভেঙে যায়। বিজেপি ও এনসিপি রিও সরকারের বিরুদ্ধে নাগাড়ে মুখ খুলতে থাকে। তবে গত কাল মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিওর সঙ্গে বৈঠকের পরে ফের সুর বদল করে বিজেপি, এনসিপি। বৈঠক শেষে মিলিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি, এনসিপি ও সংযুক্ত জনতা দলের প্রতিনিধিরা এনপিএফ তথা রিওর সঙ্গে ফের জোট গড়ার কথা ঘোষণা করেন। বর্তমানে ৬০ সদস্যের বিধানসভায় এনপিএফ-এর বিধায়ক সংখ্যা ৩৬। কংগ্রেসের ২৩।

গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত মা-মেয়ে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারল গাড়ি। মারা গেলেন শিশুকন্যা-সহ এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে শোণিতপুর জেলার বালিপাড়ায়। পুলিশ জানায়, একটি গাড়িতে সপরিবার যাচ্ছিলেন দিগন্ত বুড়াগোহাঁই। বালিপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সজোরে একটি গাছে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁর স্ত্রী বর্ণালী বুড়াগোহাঁই ও কন্যা এলিসা। জখম হন গাড়িতে থাকা আরও এক মহিলা ও শ্রুতিমধুর নামে একটি শিশু। অন্য দিকে, লখিমপুরে টেম্পো থেকে পড়ে যাওয়া এক শিশুকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় লাল বাতি লাগানো একটি গাড়ি। তা নিয়ে চলে পথ অবরোধ। পুলিশ সূত্রে খবর, টেম্পোর দরজার কাছে বসে থাকা মায়ের কোল থেকেই শিশুটি রাস্তায় পড়ে যায়। পিছন থেকে তীব্রবেগে আসা অরুণাচলের একটি গাড়ি শিশুটিকে চাপা দেয়। পুলিশ প্রথমে গাড়িটি আটকালেও লালবাতি দেখে পড়ে ছেড়ে দেয়। এ নিয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনতা। ওই গাড়ির আরোহী ও চালককে গ্রেফতারের দাবিতে লখিমপুর থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। চলে পথ অবরোধ।

আধা-সেনা ক্যাম্পে জনতার হামলা
আধা-সেনা বাহিনীর উপরে রীতিমতো হামলা চালিয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের জিরিবামে। পুলিশ সূত্রে খবর, জঙ্গি সন্দেহে সোমবার আসাম রাইফেল্স জওয়ানরা মোইরাংথেম বিজেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাঁর পরিবার ও পড়শির দাবি, বিজেন নির্দোষ। আসাম রাইফেল্স-এর হেফাজতে বিজেনের উপরে অকথ্য অত্যাচার চলছে জানতে পেরে আজ আসাম রাইফেল্স-এর ২২ নম্বর ব্যাটালিয়নের শিবিরে হানা দেন স্থানীয় মানুষ। আসাম রাইফেল্স তখন বিজেনকে মণিপুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার তোড়জোড় করছিল। কিন্তু উত্তেজিত জনতা জওয়ানদের তাড়া করে বিজেনকে ছিনিয়ে নেয়। দু’পক্ষের খণ্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। চলে লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস। পরে অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অতিরিক্ত এসপি এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আসাম রাইফেল্স-এর মারে জখম বিজেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হেমরাজের বাড়িতে সেনাপ্রধান
পাক সেনাদের হানায় নিহত জওয়ান হেমরাজের পরিবারের সঙ্গে আজই দেখা করেছেন তিনি। এ বার পালা সুধাকর সিংহের। শুক্রবার সিধি জেলার দাধিয়া গ্রামে সুধাকরের পৈতৃক বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন সেনাধ্যক্ষ জেনারেল বিক্রম সিংহ। থাকবেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহও। এ দিন হেমরাজের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সেনা প্রধান জানান, নিহতদের পরিবারের সব দাবি মেটাতে সার্বিক ভাবে চেষ্টা করা হবে তাঁদের তরফে। তিনি বলেন, “হেমরাজের বলিদানকে সম্মান জানাতেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তিনি। সীমান্ত যুদ্ধে যে সব সেনা প্রাণ হারান তাঁদের পরিবারের সঙ্গেই ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী।”

সম্প্রীতির সভা
কোকরাঝাড়ে শান্তি ফেরাতে শান্তি-সম্প্রীতি সভা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা সভায় উপস্থিত ছিলেন। গত ২৩ জুলাই থেকে এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয় অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৮০ জন। ৫ লক্ষের বেশি মানুষ বাড়ি ছেলে চলে যান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের তিনটি পরিবারের হাতে ৩ লক্ষ টাকা করে চেক তুলে দেন। বাকিদের পর্যায়ক্রমে টাকা দেওয়ার কথাও মুখ্যমন্ত্রী জানান। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সবপক্ষকেই তিনি আহ্বান জানান।

ক্রেন ছিঁড়ে মৃত ২
ক্রেন ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে মারা গেলেন দুই খনি শ্রমিক। ঘটনাটি মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া হিল জেলার। পুলিশ জানায়, আজ ক্ল্যারিয়েট এলাকার এক কয়লা খনিতে কাজ চলার সময় চার শ্রমিক-সহ একটি ক্রেন দড়ি ছিঁড়ে নীচে আছড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান হাইলাকান্দির বাসিন্দা সুলতান আহমেদ মজুমদার ও আবদুল জলিল চৌধুরী। আবদুল মান্নান মজুমদার, ফরিদউদ্দিন মজুমদার নামে জখম দুই শ্রমিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, জেলে চৌটালা-সহ ৫৫
অবৈধ ভাবে তিন হাজারেরও বেশি জুনিয়র বেসিক ট্রেনড (জেবিটি) শিক্ষককে নিয়োগের দায়ে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালা, তাঁর ছেলে অজয় চৌটালা-সহ মোট ৫৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির একটি আদালত। তাদের মধ্যে ১৬ জন মহিলাও রয়েছেন। আজ এই রায় ঘোষণা করেছেন বিশেষ সিবিআই বিচারপতি বিনোদ কুমার। রায়ের পরেই দোষীদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ২২ জানুয়ারি শাস্তি ঘোষণা হবে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা জানান, আইন আইনের পথেই চলবে। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ওমপ্রকাশের আর এক ছেলে অভয় চৌটালা জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। তাঁর দাবি, ‘‘গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই হয়েছে বংশী লাল সরকারের আমলে।” ১৯৯৯-২০০০ সালে তিন হাজারেরও বেশি জেবিটি শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে হরিয়ানায়। ২০০৩-এর ২৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। তারা চার্জশিটে জানায়, এই নিয়োগের জন্য ভুয়ো কাগজপত্র ব্যবহার করেছেন ওমপ্রকাশ এবং অজয়। প্রাথমিক ভাবে এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিলেন ৬২ জন। বিচার চলাকালীন ছ’জন মারা যান। আর এক জনকে মুক্তি দেয় আদালত।

অভিন্ন স্মৃতিস্থল
জায়গার অভাব। তাই ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা সম-মর্যাদার দেশ নেতাদের মৃত্যুর পর একটি অভিন্ন ‘রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থল’ গড়তে চলেছে সরকার। কাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে মহাত্মা গাঁধী (রাজঘাট), জওহরলাল নেহেরু (শান্তিবন), ইন্দিরা গাঁধী (শক্তিস্থল), জগজীবন রাম (সমতাস্থল), রাজীব গাঁধী (বীরভূমি)-র মতো ১২ জন প্রয়াত নেতা-নেত্রীর পৃথক সমাধিস্থল রয়েছে। কিন্তু যমুনা তীরে এখন স্থানাভাব। সেই কারণে যমূনার পূর্ব তীরে সার্বিক ভাবে একটি অভিন্ন সমাধি ও তার সংলগ্ন শশ্মান নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে দিল্লিতে প্রয়াত নেতাদের সরকারি বাসভবন স্মারক হিসাবে সংরক্ষণের রীতি ছিল। কিন্তু বাজপেয়ী জমানায় সেই রীতিতে ছেদ টানা হয়েছে।

জঙ্গি নেতা গ্রেফতার
বড় মাপের এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করল বাঁকা জেলার পুলিশ। রাকেশ দা ওরফে দিলীপ দাস নামে ওই নেতাকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বাঁকা-গোড্ডা (ঝাড়খণ্ড) এলাকার সাব-জোনাল কম্যান্ডার এই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১-তে জামুইয়ের শিমুলতলায় সাত জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে রাকেশের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র জামুইয়েই ২০টি মামলা ঝুলছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে বিহার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাকেশকে ধরে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.