|
|
|
|
কিংফিশারের ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা কার্যত বাতিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জট বাড়ছে কিংফিশারকে নিয়ে। সংস্থার জমা দেওয়া পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা কার্যত বাতিল হয়ে গিয়েছে বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর কাছে। তারা সবুজ সঙ্কেত না-দিলে উড়ান শুরু করতে পারবে না কিংফিশার। পাশাপাশি, এই বিমান সংস্থার সঙ্গে আয়কর বিভাগের সংঘাত বুধবার শীর্ষ আদালত পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
বুধবার সংস্থার সিইও সঞ্জয় অগ্রবাল বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ডিজিসিএ প্রধান অরুণ মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু, সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলেই মন্ত্রক সূত্রে খবর। অথচ কিংফিশারের পাল্টা দাবি, তারা এখন উড়ান চালালে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাকি থাকা সত্ত্বেও তেল সংস্থার জ্বালানি জোগাতে ও বিমান লিজ দিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কোনও আপত্তি নেই বলে তারা জানিয়েছে। ওই সব সংস্থা লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, উড়ান চালু হলে তারা আপত্তি করবে না। যদিও এদের কাছে প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। বকেয়া পড়ে রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেও। সেই কারণে, কিংফিশারের উড়ান চালানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। এমনকী, পুনরুজ্জীবন পরিকল্পনা ডিজিসিএ খারিজ করে এটাই জানিয়ে দিয়েছে, উড়ান চালু করার আগে সমস্ত সংস্থার বকেয়া টাকা এবং কর্মীদের আট মাসের বকেয়া বেতন দিয়ে দিলে তবেই ওড়ার অনুমতি পাবে কিংফিশার।
এ দিকে আয়কর দফতর সূত্রের খবর, তারা কিংফিশারের কর্মীদের বেতন থেকে উৎসে কাটা কর (টিডিএস) জমা দিতে বলেছিল। পরিমাণ ৩৭১ কোটি টাকা। বিষয়টি কর্নাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ালে ৫ ডিসেম্বর সেই আদালত জানায়, বকেয়া টাকার ৫০% (১৮৫ কোটি টাকা) কিংফিশারকে মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কিংফিশার। |
|
|
|
|
|