|
|
|
|
সুদ না-কমানোর ইঙ্গিত সুব্বারাওয়ের, হতাশায় পড়ল সূচক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানো নিয়ে সৃষ্টি হল অনিশ্চয়তা। আর তার জেরেই পড়ল শেয়ার বাজার। এক ধাক্কায় সেনসেক্স কমে গেল ১৬৯.১৯ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে দাঁড়াল ১৯,৮১৭.৬৩ অঙ্কে।
কয়েক দিন ধরে টানা ওঠার পর অনেকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই বুধবার পড়ল শেয়ার বাজার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের মন্তব্যের জেরেই এই পতন বলে বাজার সূত্রের খবর। সুব্বারাও সম্প্রতি লখনউয়ে আইআইএম পড়ুয়াদের সঙ্গে এক বৈঠকে মন্তব্য করেন, মূল্যবৃদ্ধির হার আগের থেকে কমলেও, এখনও তা যথেষ্ট বেশি। তাই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেওয়া ব্যবস্থাগুলি এখনই শিথিল করা সম্ভব নয়। সুব্বারাওয়ের এই মন্তব্যই সুদের হার কমানোর ব্যপারে বড় মাপের প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে।
যে-সব কারণে শেয়ার বাজার ক্রমশ চাঙ্গা হয়ে উঠছিল, তার অন্যতম ছিল সুদ কমার আশা। মূল্যবৃদ্ধির হার সাত শতাংশের আশেপাশে এসে যাওয়ায় বাজারে আশার সৃষ্টি হয়েছিল যে, এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমানোর রাস্তায় হাঁটবে। আগামী ২৯ জানুয়ারি শীর্ষ ব্যাঙ্ক ঋণনীতির পর্যালোচনায় বসছে। লগ্নিকীদের মনে আশা ছিল, ওই দিনই তাদের পক্ষে এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হবে, যা সুদের হার কমানোর রাস্তা খুলে দেবে। কিন্তু সুব্বারাওয়ের মন্তব্য সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছে। এরই বিরূপ প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে।
মূল্যবৃদ্ধির হার ৭.১৮ শতাংশে নেমে এলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তাতে খুশি নয়। অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির ওই অঙ্কে শীর্ষ ব্যাঙ্ক খুশি হবে, সে কথা অবশ্য আগেও তারা কখনও বলেনি। বরং সুব্বারাও একাধিক বার বলেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামলে তবেই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে। তা ছাড়া পাইকারি বাজার দরের ভিত্তিতে হিসাব করা এই মূল্যবৃদ্ধি কমে এলেও খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার এখনও সাড়ে ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। এই অবস্থাকে সার্বিক ভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার কমা বলে মানতে নারাজ সুব্বারাও।
তবে সুব্বারওয়ের এই মন্তব্যে এই দিন লগ্নিকারীরা কিছুটা নিরুৎসাহিত হলেও বাজারে এখনও বড় মাপের পতন আসার সম্বাবনা কম
বলে মনে
করছেন বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই। তাঁদের এই ধারণার পিছনে প্রধান কারণ, ভারতের বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির আস্থা। কেন্দ্রীয় সরকার ভোডাফোনের মতো পুরনো অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কর ফাঁকি প্রতিরোধ বিধি বা জেনারেল অ্যান্টি অ্যাভয়েডেন্স রুল (জিএএআর) চালু করার সময়সীমা ২০১৬ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে আশান্বিত ওই সব লগ্নিকারী। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের খবর, গত মঙ্গলবারই বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে ১০৭৭.৫৪ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। ভারতের বাজারে ওই সব লগ্নিকারীর বিনিয়োগে আপাতত কোনও ভাটা পড়বে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। |
|
|
|
|
|