ধান দেব মেপে
নানুর ব্লক |
পাঁচটি সরকারি এজেন্সিকে মাঠে নামিয়ে ধান কিনছে রাজ্য সরকার। কিন্তু চাষিরা কি আদৌ সরকারি
শিবিরে ন্যয্য মূল্যে বিক্রি করতে পারছেন ধান? না কি খোলাবাজারে অভাবী বিক্রিই ভবিতব্য? |
|
নৃসিংহপ্রসাদ রায়, বড় চাষি
গ্রাম সাকুলিপুর,
থানা নানুর
১৮০ কুইন্টাল ধান হয়েছে। তিন কিমি দূরে চালকল। শিবির ১ কিমি দূরে (পঞ্চায়েত সমিতি)। শিবির মাত্র ১০ কুইন্টাল ধান কিনেছে। বাকি ধান ফড়ে কিংবা আড়তদারদের কাছেই বিক্রি করতে হবে। |
|
শেখ মনিরুল,
প্রান্তিক চাষি
গ্রাম সাওতা,
থানা নানুর
১০ কুইন্টাল ধান হয়েছে। ৫ কিমি দূরে চালকল। নিকটতম শিবির ২ কিমি দূরে। ধান নিয়ে যাওয়ার জন্য খরচ হলেও যা দাম তাতে পুষিয়ে গিয়েছে। না হলে অনেক কম দামে আড়তে বিক্রি করতে হত। |
|
|
গোপালচন্দ্র মণ্ডল,
ম্যানেজার
নানুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি
সদস্য সংখ্যা ২১০০। এখনও ধান কেনার জন্য কোনও নির্দেশ আসেনি। তা ছাড়া, ধান রাখার মতো উপযুক্ত গুদাম না থাকায় আপাতত এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। |
|
অশেষ পাল,
চালকলের মালিক
বালিগুনি ,
থানা নানুর
৫০ হাজার বস্তা (৬০ কেজি/ বস্তা) ধান মজুত করার ক্ষমতা। পঞ্চায়েত সমিতির শিবির থেকে কেনা শুরু হয়েছে। চাষিদের হাতে হাতে চেক দেওয়া হচ্ছে। গতবার প্রায় ১৯৮০ মেট্রিক টন লেভি দিয়েছি। |
|
|
অমল মুখোপাধ্যায় খাদ্য এলাকা পরিদর্শক
নানুর দক্ষিণ
শিবিরে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পেরে চাষিরা উপকৃত হচ্ছেন। পঞ্চায়েত স্তরে শিবির চালু হলে চাষিদের
আরও সুবিধা হবে। এই সুবিধা আড়তদার বা ফড়েরা হাতিয়ে নিতে পারে তার জন্য কড়া নজর রয়েছে। |
|
|