আদালতের লক-আপে বসছে ক্যামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
কালনা মহকুমা আদালত সংলগ্ন গভর্নমেন্ট রেজিস্টার অফিসারের (জিআরও) কার্যালয় এবং পুলিশ লক-আপে এ বার বসছে সিসিটিভি। বুধবার পুলিশের তরফে সিসিটিভি-র ক্যামেরা কোথায় থাকবে, কোন ঘর থেকে সিসিটিভিতে ফুটে ওঠা ফুটেজ দেখা হবে, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জিআরও-র কার্যালয়ে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমার নথি রয়েছে। সারা দিন এই কাযার্লয়ে আইনজীবী, মুহুরি-সহ বহু মানুষ যাতায়াত করেন। মামলা চলাকালীন কার্যালয় থেকে নথি না মেলার অভিযোগও ওঠে মাঝেমধ্যে। এর কয়েক পা দূরেই রয়েছে পুলিশ লক-আপ। প্রতি দিনই কালনা, পূর্বস্থলী, মন্তেশ্বর থেকে ধৃতদের এখানে আনা হয়। আদালতে তোলার আগে পর্যন্ত তাদের রাখা হয় এই লক-আপে। মামলা চলাকালীনও অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার আগে পযর্ন্ত এই পুলিশ লক-আপে রাখা হয়। আগে এই লক-আপ থেকে ধৃত পালিয়ে গিয়েছে, এমন নজিরও রয়েছে। মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “লক-আপে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। কারণ অন্ধকার ঘরের মধ্যে কে কী করছে তা বাইরে থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা অনেক সময়েই বুঝতে পারেন না। সিসিটিভি বসলে নজরদারি সহজ হবে।” তিনি জানান, সিসিটিভি-র মনিটরটি থাকবে জিআরও-র কার্যালয়ে। কালনা মহকুমার তিন থানাতেই সম্প্রতি সিসিটিভি বসেছে। ক্যামেরা বসেছে থানার বিভিন্ন ঘরেও। প্রায় জায়গাতেই ওসির ঘরে নজরদারির মনিটরটি বসানো হয়েছে। |
ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় হাতাহাতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মন্তেশ্বর |
নবম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে ক্লাসেরই একটি ছাত্র।
রেগে-মেগে বাড়ির লোককে স্কুলে ডেকে এনেছিল ছাত্রী। তা দেখে ছাত্রটিও বাড়ির লোকজন ডেকে আনে। স্কুলের সামনেই কুরুক্ষেত্র। হট্টগোল, হাতাহাতি।
বাইরের গণ্ডগোল যাতে স্কুল চত্বরে না ঢুকতে পারে, তার জন্য স্কুল গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হইহল্লা থামেনি। পরিস্থিতি যাতে আরও প্যঁচালো না হয় তার জন্য বাইরে থেকে আবার স্কুলের গেটেই তালা লাগিয়ে দিলেন গ্রামবাসী।
মন্তেশ্বরের চামনা উচ্চ বিদ্যালয়ে বুধবার দুপুর নাগাদ ঘটনার সূত্রপাত। বিকেল গড়াতেই দুই বাড়ির লোকের বচসা গিয়ে যায় হাতাহাতিতে। পরে অবশ্য পুলিশ এলে গ্রামবাসী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ, দু’পক্ষই তালা খুলে নেয়। পরিস্থিতিও ঠান্ডা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, বৃহস্পতিবার সব পক্ষকে নিয়ে স্কুলেই বৈঠক করে সমস্যা মেটানো হবে। |
কিশোরীকে ধর্ষণ, চৈত্রপুরে গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
গ্রামেরই এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধরা হল এক যুবককে। নাম মিলন মুদি। বাড়ি বর্ধমান থানার চৈত্রপুরে। বুধবার সিজেএম আদালতে তোলা হলে তাকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশদেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামেই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। এ দিন বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর বাবা জানান, প্রাকৃতিক কাজ সারতে বাড়ির বাইরে গেলে মিলন ও তার এক বন্ধু তাকে ধরে স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়। মেয়ে দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় বাড়ির লোকজন খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। খোঁজাখুজির পরে তাঁরা মেয়েকে শ্মশানে সংজ্ঞাহীন ও বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সুস্থ হয়ে সে ধর্ষণের ঘটনার কথা জানিয়েছে।
বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ হাতে পেয়েই ধর্ষণের মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার ডাক্তারি পরীক্ষা হবে। অভিযুক্তের ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্যও সিজেএম আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।” |
প্রদীপ খুনে জামিনের শর্ত ভাঙার অভিযোগ কোর্টে |
বর্ধমানে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুই সিপিএম নেতা খুনে অভিযুক্ত তিন জনকে অব্যাহতি দিয়েছে সিআইডি। অন্য তিন জন জামিন পেলেও শর্ত ছিল, তাঁরা বর্ধমানে ঢুকবেন না। কিন্তু তাঁরা সেই শর্ত মানছেন না বলে অভিযোগ। দুই সিপিএম নেতা প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন হত্যায় যিনি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেছিলেন, সেই আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বুধবার আদালতে বলেন, ওই তিন জন বর্ধমানেই রয়েছেন এবং প্রদীপবাবুর মেয়েকে হুমকি দিচ্ছেন। সুব্রতবাবু এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন। হাইকোর্ট তাদের অধীনে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই আইনজীবী এ দিন বলেন, কাজের বিচারে সিআইডি আর জেলা পুলিশের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তাই সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম। তাঁর দাবির পক্ষে আরও তথ্য দিতে বলেছে আদালত। কাল, শুক্রবার ফের শুনানি হবে। |