সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার গতি বাড়াতে বর্ধমানের চালকলের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে করলেন জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা।
বুধবার ওই বৈঠকের পরে জেলাশাসক জানান, জেলার ৪২৬টি চালকলকেই চাষি হিসেবে চিহ্নিতদের থেকে ‘অ্যাকাউন্ট পেয়ি’ চেকে ধান কিনতে বলা হয়েছে। আপাতত ৩০০-রও বেশি চালকল ধান কিনতে নেমেছে। চালকলে আসা চাষিদের থেকে কত ধান কেনা হবে তার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারিত হয়নি। তবে সরকারি শিবিরে এক বারে ৫০ বস্তার বেশি কেনা হবে না ।
গত মরসুমে গলসিতে কয়েকটি চালকলের বিরুদ্ধে ধান কেনা নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তিনটি চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এ বার ধান কেনা শুরু হতেই পূর্বস্থলীর একটি চালকলের বিরুদ্ধে ভুয়ো চাষিদের থেকে ধান কেনার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসক খাদ্য দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তাতে দেখা যায়, চালকলের নথিতে যে চাষিদের থেকে ধান কেনার কথা রয়েছে, তাঁদের অনেকের অস্তিত্বই নেই। ফলে, ওই কলটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে জেলাশাসক সতর্ক করেন, “এক মাত্র যাঁরা চাষি হিসেবে চিহ্নিত হবেন, তাঁরা ছাড়া আর কারও থেকেই ধান কেনা যাবে না।” তাঁর হিসেবে, ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। তা থেকে তৈরি হয়েছে ২৭ হাজার টন চাল। তা লেভি হিসেবে গুদামে পাঠানো হয়েছে। চালকলের মালিকদের ধান খরিদ ও চাল তৈরির পরিমাণ বাড়াতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “ ইতিমধ্যে এনসিসিএফ, নাফেড, বেনফেড এবং ইসিএসসি জেলায় ৭০টি শিবির খুলেছে। ২০ জানুয়ারির মধ্যে সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৮০ করা হবে।” |