নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ছোট্ট আমি। চিত্র প্রদর্শনীতে নিজের ছবির সামনে মোনালিসা। নিজস্ব চিত্র। |
প্রায় দশ বছর আগের ফেলে আসা শৈশবকে আচমকা মেলার মাঠে চোখের সামনে দেখে থমকে গেলেন এক কিশোরী। সম্বিত ফিরতেই আবেগে আপ্লুত হয়ে নিজের শৈশবকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরাবন্দি করতে তর সইল না আর। তাই দেখে রে রে করে তেড়ে এলেন মেলার মাঠের চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজকেরা। চড়া ধমক দিলেন, “জানেন না এখানে ছবি তোলা নিষেধ?”
মুচকি হেসে কিশোরী জানালেন, এই ছবিটি তাঁরই। দশ বছর আগে মেলার মাঠে তাঁর নাচের অনুষ্ঠানে তোলা ছবিটিই প্রদর্শিত হয়েছে এখানে। ছ’বছরের সেই শিশু আজ ১৬ বছরের মোনালিসা। কিন্তু আয়োজকদের চোখে তখনও প্রশ্ন, কোনটা আপনি? কৌতুহল মিটিয়ে ছবির বসন্ত রাঙা শরীরে হাত বুলিয়ে সে দেখাল, ‘এই তো আমি।’ |
তবু প্লাস্টিক। নিষেধ সত্ত্বেও বই বিক্রি ফিনফিনে পলিপ্যাকে। নিজস্ব চিত্র। |
আসানসোলকে দূষণমুক্ত করা হবে। এই ধনুকভাঙা পণ প্রশাসন থেকে পুরসভা এবং দূষণ পর্ষদেরও। তাই ধোঁয়া-ধুলো আটকানোর সঙ্গেই শহর জুড়ে প্লাস্টিক বর্জনের ডাক দেন তারা। দলে সামিল হন বিধায়ক, মেয়র এমনকী সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকেরাও। শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে একসময়ে ব্যাপক ধরপাকড়ও চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পুরোপুরি বন্ধ করতে না পেরে জনচেতনা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু মেলার মাঠে ছবি উল্টো কথাই বলছে। হামেশায় দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে বই নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। মাঠে হাজির মেয়র, বিধায়ক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নাকের ডগা দিয়েই বইপ্রেমীরা প্ল্যাস্টিক ভর্তি বই হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। চেতনার শিক্ষা কী দিতে পারল বইমেলা? |