সরকারি প্রকল্পের সুবিধে ও উন্নত চাষ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কোচবিহারে কৃষি মেলার আসর বসছে। কোচবিহার সদর, মাথাভাঙা, দিনহাটা ও মেখলিগঞ্জে মহকুমা স্তরের ১৫-১৬ জানুয়ারি মেলা হবে। তুফানগঞ্জের মহকুমা স্তরে ১৮-১৯ জানুয়ারি। এ ছাড়াও জেলার আরও সাতটি এলাকায় ব্লক স্তরের কৃষিমেলা হবে ১৭-২৩ জানুয়ারির মধ্যে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলার জন্য প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তার মধ্যে পাঁচটি মহকুমাস্তরের মেলার জন্য ৪ লক্ষ করে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ব্লক স্তরের মেলাগুলির প্রতিটির জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা করে। সরকারের আর্থিক টানাটানির মধ্যে মেলার বিপুল খরচ কতটা কৃষকদের কাজে লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “রাজ্যে সরকার নয়, একটা বড় ক্লাব আছে। যা হওয়ার কথা সেটাই হচ্ছে। ঘটা করে মেলা না করে ওই টাকা জেলার কৃষকদের সারের ভর্তুকিতে দেওয়া হলে কাজে লাগত।’’ যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কৃষকদের সচেতনতা বাড়াতে ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে থাকা কৃষি দফতর বাম আমলে কিছু করতে পারেনি। এখানে আলু, বীজ কেনার নামে আগের মত দুর্নীতি হয় না।” মহকুমা স্তরের কৃষিমেলাগুলির মধ্যে সদর মহকুমার মেলার আসর বসবে দেওয়ানহাটে। খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ১৫ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষও থাকবেন। দিনহাটায় কৃষিমেলা চত্বরে, মাথাভাঙায় সিতাই মোড়ে কৃষিফার্মের মাঠে, মেখলিগঞ্জে হাইস্কুলের মাঠে ও তুফানগঞ্জের চিলাখানায় মহকুমাস্তরের বাকি মেলা হবে। কৃষি দফতরের পাশাপাশি উদ্যান পালন দফতর, মস্য, রেশম, প্রাণিসম্পদ, সমবায় দফতরের মত কৃষির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন দফতরও মেলায় স্টল করবে। থাকছে বিভিন্ন প্রদর্শনীমূলক স্টল, আলোচনাচক্র ও কিষান ক্রেডিট কার্ড বিলির ব্যবস্থা। রাতে অনুষ্ঠান। |