শাটার ভেঙে সোনার দোকানে চুরির সময়ে বাধা পাওয়ায় গুলি, লাঠিপেটা করে ৪ জনকে জখম করে পালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার কচুয়া বোয়ালমারির প্রধানপাড়া বাজারে। জখমদের মধ্যে দোকান মালিকের শ্যালক চন্দন সরকার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অন্যদের লাঠিপেটা করা হয়েছে। চন্দনবাবু ও তাঁর ট্রাকের খালাসির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের প্রথমে হলদিবাড়িতে ও পরে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের হলদিবাড়ি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “দুষ্কৃতীরা একটি পিক আপ ভ্যানে চড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাদের ধরতে তল্লাশি চলছে। লাগোয়া সব জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে।” প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, গভীর রাতে ওই দোকানের শাটার ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢোকে। কেউ হেলমেট, কেউ বাঁদর টুপি পড়েছিল। তারা দোকানে ঢুকে মদের আসর বসায়। সেখানে মদ খাওয়ার পরে গয়নার বাক্স ভাঙা শুরু করে। |
সব মিলিয়ে ৭ জন বলে পুলিশের সন্দেহ। ওই সময়ে আলুর ট্রাক চালিয়ে লাগোয়া রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দোকান মালিকের শ্যালক চন্দন সরকার। ব্যাপার বুঝে ট্রাক থামিয়ে নেমে একজনকে ধরে ফেলেন চন্দনবাবু। ওই সময়ে তাঁকে লক্ষ্য করে অন্য দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। জখম হয়ে তিনি লুটিয়ে পড়েন। ট্রাকের খালাসি নেমে বাধা দিতে গেলে তাঁকে লাঠিপেটা করে অচৈতন্য করে পেলে দুষ্কৃতীরা। হইচই শুনে দোকানের পাশের দুই বাসিন্দা সেখানে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে লাঠিপেটার পরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের গয়না ও একটি মোবাইল নিতে পেরেছে। জখম ট্রাক চালক ও খালাসির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত তিন মাসে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। জলপাইগুড়ি থেকে ১৭ কিলোমিটার এবং হলদিবাড়ি থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের ওই রাস্তায় পুলিশের টহলদারি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি এবং হলদিবাড়ি থানার পুলিশ একযোগে তদন্ত শুরু করেছে। এদিনই ভোরে ময়নাগুড়িতে টহলাদারী পুলিশ একটি পিকআপ ভ্যান সমেত দুজনকে আটক করে। তাদের কাছে দোকানের সাটার ভাঙার বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ তাদের জেরা করছে। |