এক তরুণীকে গাড়িতে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের হরিদাসপুর এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীকে বৃহস্পতিবার অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায়। শুক্রবার তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস বলেন, “ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন চিকিৎসকেরা।” শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ও জি পাল জানান, চাকুলিয়া থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তাঁরা তরুণীর সঙ্গে কথা বলছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তমলুক থানায় তিনি নিখোঁজ বলে ৯ জানুয়ারি একটি ডায়রি করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব এ দিন হাসপাতালে ওই তরুণীকে দেখতে যান। তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।” ওই তরুণী যে এলাকার বাসিন্দা সেখানকার জনপ্রতিনিধিরাও পুলিশে খোঁজ নিয়েছেন। ওই তরুণীর পরিবারের লোকেরা চাইছেন তমলুকে বাড়ির কাছাকাছি কোনও হাসপাতালে রেখেই তাঁর পরবর্তী চিকিৎসা করাতে।
পুলিশ এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কয়েক দফায় ওই তরুণী পুলিশ এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কাজের খোঁজে তিনি বাড়ি থেকে হাওড়া গিয়েছিলেন। হাওড়া থেকে তাঁকে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করেছে কয়েক জন যুবক। তবে সেই যুবকদের পরিচয় স্পষ্ট নয়। এক বার তরুণী বলেছেন, অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তিই হাওড়া থেকে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে অত্যাচার করেছেন। আবার বলেছেন, মোবাইলের সূত্রে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেই যুবকই তাঁকে ভাল কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে হাওড়ায় ডেকে পাঠায়। তার পরে সেই যুবক ও তার বন্ধুরা তাঁকে গাড়িতে তুলে অত্যাচার করে। ওই তরুণীর মা মেয়ের কাছে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “মেয়ে যে দিন নিখোঁজ হয়ে যায়, সে দিন আমি বাড়ি ছিলাম না। যা বলার মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছে।” ধর্ষণের একটি অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়িতেও। শনিবার এক কলেজ ছাত্রীর দাদা জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ২৪ ঘণ্টা পরেও ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি। ময়নাগুড়ি থানার যুক্তি, ওই ছাত্রীটি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকায় তাকে সরাসরি হোমে পাঠানো হয়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “ছাত্রীটির মেডিক্যাল টেস্ট করানোর প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তকে জেরার জন্য প্রয়োজনে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হবে।” |