মহিলা মুখ্যমন্ত্রী শাসিত, অথচ, নারী নির্যাতনে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের মর্যাদা রক্ষায় স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে পাথেয় করার পরামর্শ দিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহনরাও ভাগবত। তাঁর বক্তব্য, “যে দেশে এক সময় মহিলাদের জগজ্জননী বলে মনে করা হয়েছে, তাঁদের সবচেয়ে উচ্চাসন দেওয়া হয়েছে, সেখানেই এখন নারী বলাৎকারের শিকার! কারণ আমরা সংবেদন ত্যাগ করেছি। স্বামীজির উপদেশ মেনে সেই সংবেদনের চর্চা করতে হবে।”
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার থেকে রবিবার কল্যাণীর কাছে গয়েশপুরে গোশালা ময়দানে আরএসএসের আবাসিক যুব শিবির হয়েছে। এ রাজ্যে ২২ বছর পরে তাদের এ রকম আবাসিক শিবির হল। ১৫-৪০ বছর বয়সী স্বয়ংসেবকরা সেখানে যোগ দেন। বিবেকানন্দের জন্মদিন শনিবার সেখানে যান ভাগবত। নারীর সম্মান রক্ষা থেকে শুরু করে দেশ গঠন সব বিষয়েই স্বামীজির আদর্শকেই প্রকৃত দিশা রূপে ব্যাখ্যা করেন তিনি। তাঁর কথায়, “ভ্রষ্টাচার, বলাৎকার ঠেকাতে কড়া আইন এবং সাজা দরকার। কিন্তু শুধু তা দিয়ে হবে না। কারণ, যাঁরা আইন প্রয়োগ করবেন, তাঁরা এই সমাজেরই মানুষ। তাই সমাজের হৃদয়ে সংবেদন জাগানো দরকার।” ওই শিবিরে বক্তৃতা করেন ইসরোর প্রাক্তন প্রধান জি মাধবন নায়ারও। বিজেপি নেতা তথাগত রায়, রাহুল সিংহও শিবিরে ছিলেন।
আরএসএসের বক্তব্য, স্বামীজির আদর্শে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল ওই শিবিরের উদ্দেশ্য। কিন্তু সংগঠনের অন্দরের খবর, বিবেকানন্দকে সামনে রেখে আসলে এ রাজ্যে নিজেদের ঘর গুছোতেই ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিজেপি-র তত্ত্ব মমতা-সরকার দেড় বছর চলার পর তাদের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আবার সিপিএম-ও দুর্বলতা যথেষ্ট কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এই শূন্যস্থান কাজে লাগাতে তৎপর হওয়া উচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরএসএসের শিবিরও বিজেপি-র ভোট বাড়ানোরই কৌশল বলে মনে করছে দলেরই একাংশ। |