কেকেএম ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু
যেন নেহাতই নিয়মরক্ষার শুরু। রবিবার গ্রাম ফুটবল কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হল নিতান্তই দায়সারা মেজাজে। কামদাকিঙ্কর জঙ্গিপুরের সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পিতামহ। তিনি এবং এই প্রতিযোগিতার ফুটবল কমিটির আহ্বায়ক বিধায়ক কংগ্রেসের আখরুজ্জামান ছাড়া কোনও বিধায়ক ও সাংসদই হাজির হলেন না অনুষ্ঠানে।
উদ্বোধনী প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ নিলেন সেনাবাহিনী একাদশ এবং আইএফএ একাদশ। ১-০ গোলে জয়লাভ করে সেনাবাহিনী একাদশ। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অলিম্পিকে চিন যে তুলনায় পদক জেতে, ভারতের স্থান তার তুলনায় বেশ লজ্জাজনক। এই লজ্জা কাটাতে গেলে গ্রাম স্তরে ক্রীড়াক্ষেত্রে মানোন্নয়ন দরকার। এদিকে লক্ষ্য রেখেই ১৪ একর জমি নেওয়া হয়েছে সাগরদিঘির ধুমারপাহাড় এলাকায়। সেখানেই তৈরি হবে স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুল। এর জন্য অর্থ সংস্থানের চেষ্টা চলছে। কারণ শুধু সরকারি উদ্যোগে খেলার উন্নয়ন সম্ভব নয়, চাই বেসরকারি উদ্যোগ।”
প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
গত বছরের মতই এবার ২৫৬টি দল নিয়ে খেলা চলবে অন্তত ৩০টি মাঠে। এক সপ্তাহের মধ্যে ব্লক পর্যায়ের খেলা শুরু হয়ে যাবে। ৪৬০৮ জন খেলোয়াড় অংশ নেবেন এই প্রতিযোগিতায়। ফেব্রুয়ারির শেষে ফাইনালের দিন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে হাজির করানোর চেষ্টা হচ্ছে। অভিজিৎবাবু বলেন, “ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে উপস্থিত থাকার জন্য বাবাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
২০০৮ সালে নিজের সংসদীয় এলাকা জঙ্গিপুরে প্রণববাবু তাঁর বাবা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের নামে ওই ফুটবল প্রতিযোগিতা চালু করেন। শুরুতেই ১৭৬টি দল অংশ নেয়। ২০০৯ সালে বহরমপুর ও মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ফুটবল দল অংশ নেওয়ায় দলের সংখ্যা বেড়ে ২৪০ হয়। ২০১২ সালে বীরভূমের ১৬টি দল যুক্ত হয়। সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতা চলে ২৫৬টি দলের মধ্যে। মূল পর্বে ২৮টি দল উঠে আসে। এদিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করার কথা ছিল রেলমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর। কিন্তু তিনি আসেননি। সাংসদ মান্নান হোসেন থেকে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাহ, বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়সকলেই অনুপস্থিত ছিলেন। আখরুজ্জামান বলেন, “জেলায় না থাকার জন্য তাঁরা কেউই আসতে পারেননি।”

জেলা ভুল তথ্য দেওয়ায় মামলা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় কত টাকা খরচ হয়েছে তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ভুল তথ্য পেয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগম। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তিনি একটি জনস্বার্থ মামলাও করেছেন। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “২৯ অগস্ট বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি সভায় সাড়ে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে শাহানাজকে জানায় জেলা প্রশাসন, যা ঠিক তথ্য নয়। শাহানাজ তথ্যের অধিকার আইনে ওই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। তবু তাঁকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। সে কারণেই শাহানাজ জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন।” মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক উন্নয়ন সন্দীপ দত্ত বলেন, “তথ্যের অধিকার আইনে কোনও তথ্য জানতে চেয়ে সেই উত্তরে কেউ অসন্তুষ্ট হলে সে কথা প্রথমে আমাকেই জানানোর কথা। কিন্তু আমি এ ধরনের কোনও আবেদন পাইনি। এ বার হাইকোর্ট যদি আমার কাছ থেকে কোনও তথ্য জানতে চায়, আমি তা দিয়ে দেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.